হারতে হারতে ক্লান্ত হোসে মরিনহো। অজুহাতেরও যেন শেষ নেই তার। এতদিন রেফারি কিংবা প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের দোষ দিয়েছেন। কিন্তু চেলসির হারে এবার হাস্যকর অভিযোগ তুললেন। ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে সোমবার তার দল ২-১ গোলে হেরেছে লিস্টার সিটির কাছে। এতে দলের খেলোয়াড়দের বিশ্বাসঘাতকতার গন্ধ পাচ্ছেন তিনি। স্পষ্ট করেই বললেন, বিশ্বাসঘাতকতার কারণেই আমি হেরেছি। তবে তিনি যাই বলুন না কেন, এতে আর্সেনাল ও ম্যানচেস্টার সিটিকে টপকে ফের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে এবার চমক জাগানো লিস্টার সিটি। অন্যদিকে হোসে মরিনহোর চেলসি পড়েছে রেলিগেশনের বড় শঙ্কায়। ১৬ ম্যাচে মাত্র ১৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ১৬তম স্থানে তারা। রেলিগেশন থেকে তারা মাত্র এক পয়েন্ট এগিয়ে আছে। চলতি মওসুমে চেলসি ৯ ম্যাচ হেরেছে। অথচ মওসুমের অর্ধেকও এখনও পার হয়নি। গত দুই মওসুমে সব মিলিয়ে ৭৬ ম্যাচে তারা হেরেছিল ৯ ম্যাচ- ২০১৩-১৪তে ৬ ও ২০১৪-১৫তে ৩। লিস্টারের মাঠে ৩৪ মিনিটে জেমি ভার্ডির গোলে পিছিয়ে পড়ে চেলসি। যিনি প্রিমিয়ার লীগে এই নিয়ে টানা ১৪ ম্যাচ গোল কিংবা অ্যাসিস্ট করলেন। চলতি মওসুমে এখন তার গোল গিয়ে দাঁড়ালো সর্বোচ্চ ১৫ তে। আর ইউরোপের সেরা পাঁচ লীগে চলতি মওসুমে তার চেয়ে বেশি (১৮) গোল করেছেন একমাত্র পেইরে-এমেরিক আইউবামেং। জার্মানির বুন্দেসলিগায় বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে তিনি করেছেন ১৮ গোল। এদিন ৪৮ মিনিটে লিস্টার সিটির ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রায়াদ মাহরেজ। ৭৭ মিনিটে চেলসির ব্যবধান কমান বদলি হিসেবে নামা লোইক রেমি। এই ম্যাচ হেরে মরিনহো হাস্যকর হাস্যকর অভিযোগ তুললেন। বলেন, ‘আমাদের দুই গোল হজম করা অগ্রহনযোগ্য। আমার সবচেয়ে ভালো গুণ হচ্ছে, খেলোয়াড়দের জন্য খেলা এবং প্রতিপক্ষকে পড়ে দেয়া। হুমকির জায়গাগুলো চিহ্নিত করে দেয়া। চারদিন ধরে এই ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের সবলতা-দুর্বলতা বের করেছি। ওরা যে চার ধরনের মুভমেন্ট থেকে বেশিরভাগ গোল করে সবই বের করেছি। আমার খেলোয়াড়দেরকে সেটা তিন দিন আগেই জানিয়েছি। কিন্তু ওই চার ধরণের মধ্যে আমরা দুই মুভমেন্ট থেকেই দুই গোল খেলাম। ভার্ডি ঠিকই দুই সেন্ট্রাল ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে চলে গেল। মাহরেজ বক্সে ওয়ান-অন-ওয়ান পেয়ে গেলো। অথচ আমি চেয়েছিলাম সেখানে ওর সঙ্গে দুইজন থাকুক। এখন মনে হচ্ছে, আমার কাজের সঙ্গে কেউ (খেলোয়াড়রা) বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।’