সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর, স্বদেশ নিউজ২৪.কম: অভিনয়শিল্পী বাঁধনের মেয়ে সায়রার বয়স এখন চার। গল্প শুনতে খুব পছন্দ করে। এখন থেকেই মেয়ের কাছে গল্পের মধ্য দিয়ে একটু একটু করে এই দেশকে তুলে ধরছেন বাঁধন। বলছেন মুক্তিযুদ্ধের কথা, স্বাধীনতার কথা, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও বুদ্ধিজীবীদের কথা। বাঁধন আরেকটি কাজ করছেন, গল্প বলার পাশাপাশি মেয়েকে নিয়ে যাচ্ছেন গল্পের সঙ্গে মিলে যায়, সেই সব জায়গায়। আর তা দারুণ উপভোগ করছে সায়রা।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আগের দিন ১৩ ডিসেম্বর সায়রাকে নিয়ে বাঁধন গিয়েছিলেন রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে। শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ১৯৭১ সালের সেই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের।
পুরো ব্যাপারটি ক্যামেরায় বন্দী করতে পারলে ভালো হয়। বড় হয়ে মেয়ে ছবিগুলো দেখে আজকের দিনগুলোর কথা মনে করতে পারবে। এ জন্য আমন্ত্রণ জানালেন আলোকচিত্রী আরিফ আহমেদকে।
বাঁধন বললেন, ‘আমার যখন চার বছর বয়স, তখন বাবা বৃত্তি নিয়ে নেদারল্যান্ডসে গিয়েছিলেন উচ্চতর পড়াশোনার জন্য। তিনি ছিলেন প্রকৌশলী। সেখানে কিংবা অস্ট্রেলিয়ায় বাবার থেকে যাওয়ার খুবই সুযোগ ছিল। তিনি উন্নত জীবন যাপন করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। শুধু বলেছিলেন, একবেলা ডাল-ভাত খেয়ে হলেও তিনি বাংলাদেশেই থাকবেন। পড়াশোনার পর ফিরে এসেছিলেন দেশে। বাবার সেই কথা আমি ভুলিনি। আমি চাই, সায়রার মাঝেও তেমনি দেশাত্মবোধ তৈরি হোক। আর এর জন্য আমাকেই চেষ্টা করতে হবে।’
রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে বাঁধন আর সায়রার শ্রদ্ধা জানানোর মুহূর্তগুলো ক্যামেরায় বন্দী করেন আলোকচিত্রী আরিফ আহমেদ। তিনি বললেন, ‘রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ একদম কাছে। কিন্তু আমরা কজন জানি তা? বাঁধন তাঁর মেয়েকে নিয়ে যে উদ্যোগ নিয়েছেন, এমনটা সব পরিবারেরই করা প্রয়োজন। তাহলে ছোটবেলা থেকেই সবার মধ্যে দেশাত্মবোধ জাগ্রত হবে। বড় হয়ে সবাই দেশটাকে ভালোবাসবে।’