টুর্নামেন্টের মাত্র তিন সপ্তাহ আগে দায়িত্ব নিয়ে সাফ জয়ের বড় স্বপ্ন দেখেছিলেন মারুফুল হক। অল্প সময় হলেও তার বড় সম্বল ছিল দেশের এই ফুটবলারদের তিনি খুব ভালো করে চেনেন। ঘরোয়া ফুটবলের সুবাদে মারুফুল চেনেন তাদের। এদের নিয়ে তিনি ঘরোয়া ফুটবলে ট্রেবল জিতেছেন। তবে এই চেনায় অনেক গলদ আছে। কোনো দলের ঘরোয়া লীগ জয়ে বড় ভূমিকা থাকে বিদেশিদের। এই দেশি ফুটবলাররা থাকেন তাদের সহকারী হিসেবে, সেটা ছাপিয়ে তারা কখনও যে নায়কের আসনে বসতে পারবেন না, এই সত্যটা কোচ বোঝেননি। জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়ে মারুফুল এই সত্যটা উপলব্ধি করেছেন। দেরিতে হলেও এই বিষয়টি উপলব্ধি করছেন অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম। সিদ্ধান্ত নিয়েছে আজই দায়িত্ব ছাড়বেন জাতীয় দলের।
আজ ত্রিবান্দ্রামের ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ‘বি’ গ্রুপের গুরুত্বহীন ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভুটান-বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সময় বিকাল চারটায় শুরু হওয়া ম্যাচে বিরাট পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন দলের কোচ মারুফুল হক। দলের পরিবর্তনের ভুটান ম্যাচের পর অধিনায়কত্বেও পরিবর্তন আসছে। গত সাফ থেকে জাতীয় দলের দায়িত্বে থাকা মামুনুল ব্যর্থতার দায় নিয়ে সরে যেতে চাইছেন। তার মতে এই টিম নিয়ে আগানো কষ্ট। এদের অনেকে দেশের প্রতি কমিটমেন্টের অভাব রয়েছে। আমি দায়িত্ব নিয়ে লুজার হতে চাই না। আমার ব্যাকগ্রাউন্ড দেখেন; সবসময়ই আমি দলের ওপর আস্থা রেখে কথা বলি। এটা যদি বারবার হতে থাতে, তাহলে তা আমার জন্য লজ্জাজনক। সতীর্থদের উপর ক্ষোভ নিয়ে মামুনুল বলেন, আমার ব্যক্তিত্ব আছে। গণমাধ্যমের সামনে আমি সবসময় কথা বলি; আত্মবিশ্বাস নিয়ে কথা বলি এবং কমিটমেন্ট করি। কিন্তু অন্যদের বেলায় সেটা আমি দেখি না। এ কারণে আমার মনে হয় পরাজিত যোদ্ধার চেয়ে মরে যাওয়া যোদ্ধা ভালো। মরে গেলে তো কেউ আর কিছু বলবে না। পরাজিত হলে লোকে দেখা হলেই কথা বলবে। ভুটান ম্যাচই অধিনায়ক হিসেবে আমার শেষ। এদিকে অন্তত ভুটানকে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করতে চান মামুনুল ইসলাম। ভুটানের সঙ্গে খেলা চার ম্যাচের তিনটিতে জিতেছে বাংলাদেশ। তবে চলতি আসরে আফগানিস্তান ও মালদ্বীপের সঙ্গে তুলনামূলক ভালো খেলেছে ভুটান। হেরেছেও কম ব্যবধানে। এ কারণেই অতীত রেকর্ড পক্ষে থাকলেও দলটির বিপক্ষে জয়ের কথা জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না। অতীত বিপক্ষে কথা বললেও বাংলাদেশের ভঙ্গুর মানসিকতার সুযোগটা কাজে লাগাতে চান ভুটানের কোচ পেমা দর্জি।