রাজধানীর পৃথকস্থানে তিনজনের অপমৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন- মো. সেলিম উদ্দিন (৫০), নিতাই চন্দ্র বর্মণ (৩২) ও বিউটি আক্তার (৩২)। পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গতকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকাল ৮টায় যাত্রাবাড়ী থানাধীন শনির আখড়ার বাসস্ট্যান্ডে রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি মালবাহী ট্রাক সেলিমকে ধাক্কা দেয়। রক্তাক্ত অবস্থায় পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সেলিম পেশায় ছিলেন দিনমজুর। তার বাবার নাম আব্দুস সাত্তার। গ্রামের বাড়ি বরগুনা জেলার আমতলী এলাকায়।
পল্লবী থানাধীন ১৮ নম্বর রোডের ১৪ নম্বর বাড়ির চতুর্থ তলায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন নিতাই চন্দ্র বর্মণ। গতকাল দুপুর ১টায় ওই বাড়ির লোকজন তাকে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় কাপড় পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে পরিবারের সদস্যরা অচেতন অবস্থায় নিতাই চন্দ্র বর্মণকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিতাই সেন্টাল কুরিয়ার সার্ভিস নামে একটি প্রতিষ্ঠানের অন্যতম পরিচালক ছিলেন। তার আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি। তার বাবার নাম বিরেন্দ্র চন্দ্র বর্মণ। গ্রামের বাড়ি বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দির ফুলবাড়ী এলাকায়। এদিকে, ডেমরার কোনাপাড়ার বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন বিউটি আক্তার। শনিবার রাত ১১টায় পরিবারের সদস্যরা ওই বাড়ির ঘরের আড়ার সঙ্গে তাকে গলায় কাপড় পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পারিবারিক কলহের জের ধরে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে ধারণা করা হচ্ছে। তার স্বামীর নাম জালাল উদ্দিন। গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলায়। এই তিনটি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন ঢামেক হাসপাতালের ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ মো. মোজাম্মেল হোসেন।