সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান, স্বদেশ নিউজ২৪.কম: আন্তজার্তিক খ্যাতি সমপন্ন চিকিৎসক ও গবেষক ডা.আলমগীর মতি পরিচালিত বাংলাদেশের স্বনাম ধন্য প্রতিষ্ঠান মডার্ণ হারবাল গ্রুপ-এ প্রফেসর মোঃ মাহমুদুর রহমানকে তার কাজের সততা ও স্বীকৃতি স্বরূপ এজিএম পদ থেকে ডিজিএম পদে পদোন্নতি প্রদান করেছেন। স্বদেশ নিউজ২৪.কমের সম্পাদক সাইমুর রহমান তাঁকে স্বদেশ পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর জন্য প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
উল্লেখ্য, প্রফেসর মোঃ মাহমুদুর রহমানের জন্ম তিতাস বিধৌত বি-বাড়ীয়া জেলার ঘাটিয়ারা গ্রামে। পিতা মোঃ মাহবুবুর রহমান একজন সরকারী কর্মকর্তা ছিলেন। মাতা উম্মে কুলসুম। জনাব মাহমুদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.কম (অনার্স) এম.কম ও ডিপ.ইন.এড শিক্ষা শেষে আবুজর গিফারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ঢাকাতে অধ্যাপনা শুরু করেন। পরবর্তীতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি বিপণন পরিদপ্তরে গবেষণা কর্মকর্তা ও একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করে বর্তমানে মডার্ণ হারবাল গ্র“পে এডভাইজর ও ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার এবং “সুস্বাস্থ্যে-Modern Health” এর সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। ছাত্রাবস্থায় তিনি অধুনালুপ্ত ডেইলি মর্নিং নিউজ পত্রিকায় রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেন।
তাছাড়া তিনি লায়ন্স ক্লাব্স ইন্টারন্যাশনাল জেলা ৩১৫ বি-২ প্রাক্তন কেবিনেট সেক্রেটারী ও রিজিয়ন চেয়ারপারসন। বর্তমানে তিনি জেলা গভর্ণরের এ্যাডভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাছাড়া তিনি ঢাকা শরীয়তপুর সেন্ট্রাল লায়ন্স আই হসপিটালের প্রজেক্ট চেয়ারপারসন। জনাব মাহমুদ বাংলাদেশ লায়ন্স ফাউন্ডেশন, লিভার ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ, লায়ন্স ব্লাড ব্যাংক, ইন্টিগ্রেটেড ক্যান্সার সোসাইটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশন (DUAA)-এর আজীবন সদস্য। তিনি বাংলাদেশ পল্লী চিকিৎসক সমিতির মহাসচিব।
জনাব রহমান হারবাল মেডিসিন বিষয়ে ভারত থেকে বিজিএম ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি “লিডারশীপ” ও “হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট”এর উপর বিদেশে একাধিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তিনি দেশে ও বিদেশ থেকে সমাজ সেবা ও সাহিত্যে অনেক পুরস্কার লাভ করেছেন। ব্যক্তিজীবনে স্ত্রী লায়ন নূর আফরোজ চৌধুরী এমজেএফ, পুত্র ড. তামিম, কন্যা প্রকৌশলী কাশ্ফী, পুত্রবধু রেশমা ও জামাতা প্রকৌশলী অমিতকে নিয়ে সুখী সংসার। প্রিয় নাতনী অলকা ও আর্যামীকে নিয়ে তিনি অবসর সময় কাটান। তিনি ছোটবেলা থেকেই লেখায় মনোনিবেশ করেন। ইতোমধ্যে তার প্রকাশিত ভালবাসার গোলাপ, বিকেলে ভোরের ফুল, আমার চোখে স্বাধীনতা, সুখের পৃথিবী, বন্ধুর ভালবাসা, মেঘের দেশে কয়েক দিন, নিশিরাতের প্রেম, এই আলো এই আঁধার, শরীরটাকে সুস্থ রাখুন, অন্য রকম একটি শিশু এবং এক শহর এক দেশ অন্যতম। তিনি ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালি, স্পেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, নেপাল ও ভারতে দাপ্তরিক ও ব্যক্তিগত কাজে ভ্রমণ করেন।
তিনি সাহিত্যে অনন্য অবদানের জন্য সাহিত্যিক মীর মোশাররফ হোসেন স্মৃতি স্বর্ণপদক, শহীদ জিয়া স্বর্ণপদক, জার্নালিষ্ট সোসাইটি কর্তৃক গুণীজন সম্মাননা এবং অনিন্দ্য সংস্কৃতি সংসদ কর্তৃক অনিন্দ্য এ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত হন। এ ছাড়া ও আন্তর্জান্তিক লায়ন্স সংগঠন থেকে সমাজ সেবায় অবদানের জন্য বহু পুরস্কারে ভূষিত হন।