কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্টেডিয়ামের উদ্বোধনী ফলক ভেঙে ফেলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নাম মুছে ফেলা হয়েছে। গতকাল বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর এ নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ জালাল আহমেদ ও আনিসুজ্জামান বাবুল, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আশফাক ও সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী ইসরাইল মিয়াসহ বেশ কয়েকজন ক্রীড়া সংগঠক উদ্বোধনী ফলক ভাঙচুরের নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তা পুনঃস্থাপনের দাবি জানিয়েছেন। শহরের আলোর মেলা এলাকায় সাত একর জমির উপর সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্টেডিয়ামটি নির্মিত হয়। ২০০৬ সালের ৫ই অক্টোবর কিশোরগঞ্জ আধুনিক স্টেডিয়াম নামে এটির উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর স্টেডিয়ামটির নাম বদলে সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্টেডিয়াম করা হয়।
স্টেডিয়ামটিতে কোনো ধরনের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজন না করায় দীর্ঘদিন যাবৎ এটি অনেকটা পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। স্টেডিয়ামটিকে সচল করার উদ্যোগের অংশ হিসেবে গত ১৬ই ডিসেম্বর পুরাতন স্টেডিয়াম ভেন্যু পাল্টে সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসন বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে। আগামী ১৬ই জানুয়ারি স্টেডিয়ামটিতে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্মৃতি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট নামে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টও শুরু হচ্ছে। টুর্নামেন্টটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম প্রধান অতিথি এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এমপি বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। এ অবস্থায় রোববার সকালে স্টেডিয়ামের নামফলক ভাঙচুরের বিষয়টি জানাজানি হয়। তবে স্টেডিয়ামের পিয়ন ও নৈশ প্রহরীর দায়িত্বে থাকা মোস্তফা মিয়া জানিয়েছেন, শুক্রবার দুপুরের দিকে নামফলকটি কে বা কারা ভাঙচুর করেছে। তিনি বলেন, শুক্রবার বেলা দুইটার দিকে দুপুরের খাবার খেতে স্টেডিয়ামের পাশে বাড়িতে যাই। এসে ফলকটিকে ভাঙা অবস্থায় দেখতে পাই। কে বা কারা ভাঙচুর করেছে, তা আমি জানি না। শুরু হতে যাওয়া টুর্নামেন্টের প্রস্তুতির জন্য ফটক খোলা ছিল বলেও মোস্তফা মিয়া জানান। এ ব্যাপারে জেলা ক্রীড়া সংস্থার আহ্বায়কের দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসক জিএসএম জাফরউল্লাহ নামফলক ভাঙচুরের ঘটনা জানেন না বলে জানান। তবে এ ব্যাপারে তিনি খোঁজ নেবেন বলে জানিয়েছেন।