সিরিয়ার অবরুদ্ধ কয়েকটি শহরে খাবার, ওষুধসহ প্রয়োজনীয় ত্রাণ সরবরাহ পৌঁছেছে। সর্বপ্রথম ত্রাণবাহী ট্রাক পৌঁছায় মাদায়া শহরে। জুলাই মাস থেকে শহরটি অবরুদ্ধ করে রেখেছে সরকারি বাহিনী ও হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা। এতে শহরটিতে তীব্র খাদ্য সংকট সৃষ্টি হয়। অনাহারে দিনাতিপাত করছিল কমপক্ষে ৪০ হাজার মানুষ। কিছু মানুষ মারাও গেছেন। সরকার ও বিদ্রোহীদের মধ্যে অবরুদ্ধ এলাকাগুলোতে ত্রাণ সরবরাহ পৌঁছাতে দেয়ার বিষয়ে সমঝোতা হয়। এরপরই জাতিসংঘ ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য তৎপরতা শুরু করে। মাদায়া শহরের পর ইদলিব প্রদেশের ফুয়া ও কেফ্রায়াতে ত্রাণবাহী ট্রাকগুলো পৌঁছায়। এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা। ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম জানিয়েছে, মাদায়ায় যে ত্রাণবাহী কনভয় পাঠানো হয়েছে তাতে ৪০ হাজার মানুষের এক মাসের প্রয়োজন মেটানো সম্ভব হবে। স্থানীয় এক মিডিয়াকর্মী আবু আম্মার বলেন, স্থানীয় ত্রাণ সংগঠনগুলো ভোর থেকে ত্রাণ পৌঁছানোর অপেক্ষায় ছিল। জাতিসংঘের ত্রাণবাহী কনভয় পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টা আগে আরেকজনের মৃত্যু হয়। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসি আর জানিয়েছে, প্রথম দফায় ৪৯টি গাড়ির বহরে ত্রাণবাহী প্রথম ট্রাকগুলো এসেছে।
প্রথম চারটি ট্রাকে কম্বল ও খাদ্য সামগ্রী ছিল। সিরিয়ায় রেডক্রস প্রতিনিধি দলের মুখপাত্র ম্যারিয়ান গ্যাসের বলেন, ত্রাণ বিতরণের কাজ কয়েক দিন লেগে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, সিরিয়াজুড়ে ১৫টি ভিন্ন এলাকায় কমপক্ষে ৪ লাখ মানুষ অবরুদ্ধ অবস্থায় বাস করছে।