এক ম্যাচে চার অভিষেক। এই চারের মধ্যে সবার লক্ষ্য ছিলো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের(বিপিএল) আবিস্কার আবু হায়দার রনির দিকে। মূলত, মুস্তাফিজুর রহমানের ইনজুরিতে তার বদলি হিসেবেই দলে জায়গা হয়েছে তার। কিন্তু মাঠের পারফরম্যান্সে মুস্তাফিজের চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে তিনি। মাশরাফি অবশ্য জানিয়ে দিলেন, মুস্তাফিজের সঙ্গে রনির তুলনা চলবে না।
শুরু থেকেই বলা হচ্ছিলো এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হচ্ছে এই জিম্বাবুয়ে সিরিজ। প্রথম ম্যাচেই অভিষেক হয় দুই ক্রিকেটারের। দুই ম্যাচেই জয়ের পর তৃতীয় ম্যাচে চার ক্রিকেটারের অভিষেক ঘটিয়ে ‘পরীক্ষা’টা বেশি কঠিনই করে ফেলে বাংলাদেশ। ফলাফল জিম্বাবুয়ের ছুঁড়ে দেওয়া ১৮৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৩১ রানের হার মানে স্বাগতিক দল। অভিষিক্ত চার ক্রিকেটার নিজেদের স্থান থেকে খুব একটা ক্রিকেটীয় পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি।
বিশেষ করে, সবার আগ্রহের কেন্দ্রে থাকা রনি দুই উইকেট নিলেও, চার ওভারে খরচ করেছেন ৪০ রান। তাই খুব সাধারণভাবেই ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে উঠে আসে রনির প্রসঙ্গ। জাতীয় দল ও মাত্র শেষ হওয়া বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স; উভয় দলেই রনি খেলেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বে।
তবে মুস্তাফিজের স্থলাভিষিক্ত রনিকে মুস্তাফিজের সঙ্গে মেলাতে চান না অধিনায়ক। প্রথমে ম্যাচে রনির পারফরম্যান্সের মূল্যায়ন করতে গিয়ে বলেন, ‘আগেও বলেছি তার ব্যাপারে সে অবশ্যই প্রমিজিং। সে যার জায়গায় খেলেছে মুস্তাফিজ তার সঙ্গে মেলানোর কোন সুযোগ নেই।’
মাশরাফির মতে, প্রথম ম্যাচে খুব একটা খারাপ করেননি রনি। ভবিষ্যতে ভালো খেলবে বলে আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘প্রথম ম্যাচ হিসেবে খুব খারাপ করেনি রনি। আশা করি ভবিষ্যতে যেখানেই সুযোগ পাবে জাতীয় দল কিংবা ঘরোয়া ক্রিকেট যেখানেই খেলুক খেলতে খেলতে ভালো করবে আস্তে আস্তে।’
এর পরপরই আসে সাব্বির রহমান প্রসঙ্গ। তিন ম্যচেই বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান সংগ্রাহক সাব্বিরকে দলের জন্য ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বলেছেন, ‘আমি আশা করবো সামনে আরও বড় স্টেজে আরও কন্টিনিউ করতে। আমার যখন ভালো একটি দল হিসেবে নামতো তখন ও যদি এভাবে রান করতে থাকে আমার বিশ্বাস পেছনের ব্যাটসম্যানগুলো আরও বেশি সাবলিলভাবে ব্যাটিং করতে পারবে। তিন নাম্বারে এভাবে ব্যাটিং করা মানে পুরো দলকে চাপমুক্ত করে দেয়।’