আবিদ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর, স্বদেশ নিউজ২৪.কম
টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহম্মদ হত্যা মামলায় সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাসহ ১৪ জনকে আসামি করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। বুধবার রাতে টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহফিজুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ তদন্ত শেষে আজ আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। মামলায় টাঙ্গাইল-০৩ (ঘাটাইল) আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা ও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, পরিবহন নেতা জাহিদুর রহমান কাকন এবং কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ আরো ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার বাদী আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদের স্ত্রী নাহার আহমদ বলেন, ‘খুনিরা দেশে থাকলেও পুলিশ কী কারণে তাদের গ্রেফতার করতে পারছে না, তা আমাদের বোধগম্য নয়।’ তিনি রানা ও তার ভাই কাকন, মুক্তি ও বাপ্পাসহ সব আসামিকে গ্রেফতার, দলের সব পর্যায় থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন। আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদের ছেলে সুমন আহমদ জানান, দীর্ঘদিন পর অভিযোগপত্র দাখিল করা হলেও দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার ও দল থেকে বহিষ্কার করা হোক। গত ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল শহরের কলেজ পাড়ায় নিজ বাসার সামনে আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহম্মদের গুলিবিদ্ধ লাশ পড়েছিল। ঘটনার পর নিহতের স্ত্রী নাহার আহম্মেদ বাদী হয়ে কারো নাম উল্লেখ না করে টাঙ্গাইল মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশ আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী নামের দুইজনকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দিতে তারা দাবি করেন এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী পরিবারের চার সদস্য আমানুর রহমান খান রানা, সহিদুর রহমান খান মুক্তি, জাহিদুর রহমান খান কাকন ও সানিয়াত খান বাপ্পা জড়িত ছিলেন। এরপরই তারা আত্মগোপনে চলে যায়। দীর্ঘ তদন্তের প্রায় দুইবছর পরে আলোচিত এ মামলার চার্জশিট দাখিল করা হলো।