ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে তাইওয়ানের তাইনান শহর। অনেক ভবন বিধ্বস্ত হয়ে মিশে গিয়েছে মাটির সঙ্গে। আবার আকাশছোঁয়া ভবনগুলো একদিকে কাত হয়ে পড়েছে। চারদিকে যতদূর চোখ যায় শুধু ধ্বংসস্তূপ। এতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বিদ্যুত সংযোগ। ধসে পড়া ও কাত হয়ে পড়া ভবনগুলোর ভিতর এখনও অনেক মানুষ আটকা পড়ে আছে। তাদের উদ্ধারে জোর অভিযান চলছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কমপক্ষে ৫ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রয়েছে একটি শিশু। আহত হয়েছে কমপক্ষে ১৫৫ জন। ৬ দশমিক ৪ মাত্রার এ ভূমিকম্প প্রায় ৪০ সেকেন্ড স্থায়ী হয়। প্রেসিডেন্ট মা ইং জিউ বলেছেন, আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধারের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হবে। এরই মধ্যে যেসব মানুষ তাদের বাড়িঘর হারিয়েছেন তাদের জন্য আশ্রয়শিবির খোলার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জিওলজিক্যাল সার্ভে বলছে, কম্পনের মাত্রা আরও বেশি হতে পারতো। ওদিকে ভূমিকম্প আঘাত হানার পর আরও ৫টি কম্পন অনুভূত হয়। তবে ভূমিকম্পের যে তীব্রতা তার প্রেক্ষিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দৃশ্যত কম হয়েছে। টেলিভিশনে প্রচারি ফুটেজে দেখানো হচ্ছে, অনেক ভবন হেলে পড়েছে। উদ্ধারকর্মীরা মই দিয়ে বেয়ে উপরে গিয়ে সেখান থেকে লোকজনকে উদ্ধারের চেষ্টা করছেন। এভাবে উদ্ধার করা হয়েছে কমপক্ষে ২২০ জনকে। মধ্য তাইনানের একটি হোটেলে অবস্থান করছিলেন আরভিং চু। তিনি বলেন, কম্পন অনুভূত হয়েছে প্রায় ৪০ সেকেন্ড। এ সময় চারদিক দুলছিল। পুরো রুম যেন দোল খাচ্ছিল। তখন আমরা বিভিন্ন জিনিস ধরে নিজেদের ঠিক রাখি। তাইওয়ানে অবস্থানরত বৃটিশ বেরি নাপ তাইনান থেকে ২৪০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থান করছিলেন। সেখান থেকেও তিনি কম্পন বুঝতে পেরেছেন। তিনি বলেন, তখন ভোর রাত। আমি গভীর ঘুমে। হঠাৎ পুরো বিছানা দুলতে থাকে। তার ওপর আমি নিজেকে ধরে রাখতে পারছিলাম না। এ অবস্থা চলতে থাকে ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড।