ক্ষুধা পেলে আমরা ফ্রিজের দিকেই হাত বাড়াই, তা সে গরমকাল হোক আর শীতকাল। ফ্রিজে অস্বাস্থ্যকর খাবার রাখলে তার প্রভাব আপনার স্বাস্থ্যের ওপর পড়বে। ফ্রিজে স্বাস্থ্যকর খাবার থাকলে উপকারটা আপনিই পাবেন। এই কারণে সুস্থতার জন্য জরুরী এমন কিছু খাবার সবসময় ফ্রিজে রাখা উচিৎ আপনার। এই খাবারগুলো ফ্রিজে থাকলে আপনার খাদ্যভ্যাস হয়ে উঠবে দারুণ স্বাস্থ্যকর এবং বৈচিত্র্যময়।
বলা হচ্ছে ধনিয়াপাতা, পুদিনাপাতা, রোজমেরি, বেসিল এসবের কথা। এগুলো টাটকা খাওয়া যায়, আবার শুকনো হার্বের গুঁড়ো ফ্রিজেও রেখে দেওয়া যায়। খাবারে দারুণ ফ্লেভার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যোগ করে এসব হার্ব। এতে এগুলো অনেকদিন ধরে ভালো থাকবে। এগুলোকে আলগা করে প্লাস্টিকে মুড়িয়ে ডোরের কোনো একটা তাকে রেখে দিন।
সাধারণত শীতকালে আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি এর পরিমাণ কম হয়। এতে আমাদের ক্লান্তি এবং বিষণ্ণতার ঝুঁকি বেশি থাকে। মাশরুম হলো এমন একটি খাবার যাতে অনেকটা ভিটামিন ডি আছে। এছাড়াও এগুলো আমাদের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী রাখতে সাহায্য করে।
শালগম, গাজর, মূলা এই ধরণের সবজিগুলোর কথা বলা হয়েছে এখানে। এগুলো মাটির নিচে জন্মায় বলে মাটির ভিটামিন এবং খনিজ ভালোভাবে শোষণ করতে পারে। এসব সবজি আমাদের দৈনিক ভিটামিন সি, পটাশিয়াম এবং ফলেটের চাহিদার অনেকটাই পূরণ করতে পারে। এছাড়াও শালগমে থাকে কয়েক ধরণের বি ভিটামিন যা আমাদের খাবার থেকে শক্তি উৎপাদনে সাহায্য করতে পারে।
সহজ কথায় বলা যায়, ডিমের মাঝে যে খাদ্যগুণ আছে তা আমাদের শরীর খুব সহজে এবং পুরোটাই গ্রহণ করতে পারে। অন্য যে কোনো খাবারের চাইতে এ কারণে ডিম খাওয়াটা ভালো, বিশেষ করে ব্রেকফাস্টে। ডিমের কুসুম আমাদের মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্র ভালোভাবে চলার জন্য দরকারি। এছাড়া গর্ভবতী নারীদের জন্য এটা আরও বেশি উপকার। একটি গবেষণায় দেখা যায়, দিনে তিনটা ডিম খাওয়ার পরেও কোলেস্টেরোলের লেভেল বাড়ায় না।
ক্যাপসিকাম অনেকেই ফ্রিজে না রেখে ফ্রুট বোলে সাজিয়ে রাখেন। কিন্তু ফ্রিজে রাখাটা অনেক বেশি ভালো, তাদের পুষ্টিগুণ সংরক্ষণ করা যায় তাতে। রঙ্গিন ক্যাপসিকামে আছে ভিটামিন এ, সি এবং বি৬। এছাড়াও আছে প্রচুর ফাইবার যাতে আপনার পেট ভরা থাকে। একেক রঙের ক্যাপসিকামে একেক ধরণের ভিটামিন পাওয়া যায় তাই সবগুলো রংই চেখে দেখুন। বিভিন্ন স্বাস্থ্য সুবিধার পাশাপাশি এগুলো খাওয়াও যায় অনেক উপায়ে।