ঢাকায় অনুষ্ঠিত সাউথ এশিয়ান গেমসের (এসএ) একাদশ আসরে বাংলাদেশের পাওয়া ১৮ স্বর্ণের মধ্যে ৪টিই এসেছিল কারাতে প্রতিযোগিতা থেকে। আন্তর্জাতিকভাবে কারাতে খেলাটি পৃথক দু’টি সংস্থা দ্বারা পরিচালিত হয়। কারাতের এ দুই বিশ্ব সংস্থারই কার্যক্রম রয়েছে ভারতে। এ দুই সংস্থার দ্বন্দ্বের কারণে এসএ গেমস থেকে বাদ দেয়া হয় বাংলাদেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় খেলাটি। একই অবস্থা ঘটেছে বাস্কেটবলের বেলায়ও। বাস্কেটবলকে শিলং-গৌহাটির গেমসের তালিকাভুক্ত করেছিল আয়োজকরা। সাতটি দেশ বাস্কেটবলে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে হাজির হয় গৌহাটিতে। কিন্তু ভারতের সংস্থাটির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে মাঠে গড়ায়নি বাস্কেটবল। এমন ঘটনায় ভারতের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইবে বাংলাদেশসহ গেমসের সদস্য দেশগুলো।
গেমসে অংশ নেয়ার উদ্দেশে ৬ই ফেব্রুয়ারি গৌহাটি পৌঁছেছিল বাংলাদেশ বাস্কেটবল দল। গত আসরে ব্রোঞ্জ জেতা দলটির এবারের প্রত্যাশা ছিল ফাইনালে খেলা। শিরোপা ধরে রাখতে মরিয়া ছিল আফগানিস্তান দল। প্রায় নয় মাসের প্রস্তুতি নিয়ে গৌহাটি গিয়েছিল আফগানরা। দেশগুলোর প্রস্তুতি এবং গৌহাটি গিয়ে খেলতে না পারায় ক্ষুদ্ধ সাত দেশের কর্মকর্তারা। বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা বলেন, ‘ভারতীয় বাস্কেটবল ফেডারেশনের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বের কারণে সকল প্রকার বাস্কেটবল খেলা বন্ধ আছে। সে দেশের আদালত এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। তাই এবার এসএ গেমসে বাস্কেটবল খেলাটাই হয়নি। আমরা ব্যাপারটি আন্তর্জাতিক বাস্কেটবল ফেডারেশনকেও জানাবো। আগামী মাসে চেন্নাইয়ে একটি সভা ডেকেছি। সেখানেই সাত সদস্য দেশ নির্ধারণ করবে কী পরিমাণ ক্ষতিপূরণ ভারতের কাছে চাওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আপাতত গেমস নিয়ে সদস্য দেশগুলোর যে সভাটি হয়েছে তাতে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে, আগামী এসএ গেমসে বাস্কেটবল খেলাটা থাকবে না। আমরা সেখানে আরও বলেছিলাম বিষয়টি ভারতীয় ফেডারেশনের সমস্যা। বাকি সাতটি দেশের সমস্যা তো নয়। ভারত খেলছে না বলে ইভেন্ট কেন হবে না? আমরা সাতটা দেশ খেলি, তারা সেটিও মানেনি। বিষয়টি আমরা এশিয়ান অলিম্পিক কাউন্সিল ও ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটিকে জানিয়েছি।’ উল্লেখ্য, ঢাকায় অনুষ্ঠিত এসএ গেমসের গত আসরে ভারতকে হারিয়ে স্বর্ণ জিতেছিলো আফগানিস্তান। ব্রোঞ্জ এসেছিলো স্বাগতিকদের ঘরে।