বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এখন পরিণত। বিশ্বের যে কোনো দল সমীহ রেখে কথা বলে। ইদানীং আবার বাংলাদেশের মুখোমুখি হতে ভয় পাচ্ছে অনেক দেশ। সর্বশেষ ১৫ মাসে পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়েকে সিরিজ হারানোয় বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মনোবল তুঙ্গে। পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে এবারের এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলেছে টাইগাররা। গত বছর ভারতকে ওয়ানডে সিরিজ হারালেও এশিয়া কাপের ফাইনালে আর পারেনি তারা। তবে বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতের সমীহ রীতিমতো দৃশ্যমান। তবে এশিয়ার অন্যতম ক্রিকেট শক্তি পাকিস্তানের জন্য বাংলাদশ এখন ভয়ঙ্কর এক প্রতিপক্ষ। বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামা মানেই যেন পাকিস্তানের হার। গত বছর বাংলাদেশের কাছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয় পাকিস্তান। তারপর একমাত্র টি-টোয়েন্টিতেও হারে তারা। আর সর্বশেষ এশিয়া কাপেও টাইগারদের কাছে হারলো তারা। এতে বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচে পাকিস্তান হারের তিক্ত অভিজ্ঞতা পেয়েছে। তাই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের চেয়ে বাংলাদেশকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে পাকিস্তান। যেটা স্পষ্ট করে বলেছেন পকিস্তানের কোচ ওয়াকার ইউনুস। আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে বুধবার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান। দুই দলের চিন্তাই এখন প্রথম ম্যাচ নিয়ে। পাকিস্তানকে মোটেও ছেড়ে কথা বলবে না বাংলাদেশ। ধারাবাহিকতা ধরে রেখে জয়ের জন্য উদগ্রীব বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের প্রথমপর্বে ওমানকে উড়িয়ে দিয়ে তেমনটাই জানালেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে মিশন শুরু করতে চান তিনি। তবে ফর্মের তুঙ্গে থাকা তামিম ইকবাল আরও আক্রমণাত্মক। বলেন, ‘বাছাইপর্বের বাধা অতিক্রম করেছি। এখন সামনে মূলপর্ব। আর এই পর্বটাই আমাদের আসল পরীক্ষা। বিশেষ করে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাছাইপর্বে যেমন খেলেছি মূলপর্বেও তেমন নৈপুণ্য দেখানোর ব্যাপারে আমি আশাবাদী।’ নিজের নৈপুণ্য ও পাকিস্তানের বিপক্ষের ম্যাচ নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আপনি যখন ভালো নৈপুণ্য দেখাবেন তখন আপনার আত্মবিশ্বাসও বাড়বে। আমার আত্মবিশ্বাস আছে। সুপার টেনে সেই আত্মবিশ্বাস ধরে রেখে পাকিস্তানের বিপক্ষে আমাদের সেরাটা দিতে চাই।’
বাংলাদেশের গ্রুপে পাকিস্তান ছাড়া অন্য তিনটি দল- ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড।