৮১ জন যাত্রীবাহী মিশরের একটি বিমান ছিনতাই হয়েছে। ছিনতাইকারী বিমানটি সাইপ্রাসের দক্ষিণ উপকূলীয় লারকানা বিমানবন্দরে নিয়ে যায়। বিমানের ক্রুসহ বেশিরভাগ যাত্রীকেই মুক্ত করে দেওয়া হলেও কয়েকজনকে জিম্মি করে রাখা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করে জিম্মিদের মুক্ত করা হয়েছে। সাইপ্রাসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি। খবরে বলা হয়, গতকাল ইজিপ্টএয়ারের ফ্লাইট এমএস১৮১ আলেকজান্দ্রিয়া থেকে রাজধানী কায়রো যাচ্ছিল। বিমানটি এয়ারবাস এ৩২০। এটি উড্ডয়নের পর একজন আরোহী বিমানটি বিস্ফোরিত করার হুমকি দেয়। বলে, তার দেহের সঙ্গে বিস্ফোরক বেল্ট বাঁধা আছে। এমন হুমকিতে বিমানটি ছিনতাই করার পর তা সাইপ্রাসের লারকানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সাইপ্রাসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ছিনতাইকারী ব্যক্তির নাম সাইফ আলদিন মুস্তাফা। তিনি মিশরের নাগরিক। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে বিমান ছিনতাইয়ের এই ঘটনার নিয়মিত আপডেটও দেওয়া হতে থাকে। স্থানীয় সময় বেলা ৩টা নাগাদ জানা যায়, ওই ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করতে সমর্থ হয় সাইপ্রাসের নিরাপত্তা বাহিনী। এসময় জিম্মিদের মুক্ত করে দেওয়া হয়। লারকানা বিমানবন্দরে বিমানটি অবতরণ করার পর থেকেই সাইপ্রাস পুলিশ তা ঘিরে রেখেছিল। বিমান অবতরণের পর ধাপে ধাপের যাত্রীদের ছেড়ে দিতে থাকেন ছিনতাইকারী সাইফ। এসময় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় এবং তার দাবি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। কয়েক ধাপে যাত্রীদের মুক্ত করে দেওয়ার পরও বেশ কয়েকজনকে জিম্মি করে রেখেছিলেন সাইফ। শেষ পর্যন্ত বেলা ৩টা নাগাদ তিনি বিমান থেকে বের হয়ে আসেন এবং আত্মসমর্পণ করেন। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে গ্রেপ্তার করে স্থানীয় পুলিশ। আর বাকি জিম্মিদেরও বের করে নিয়ে আসা হয় বিমান থেকে। সাইফ গ্রেপ্তার হলেও এখনও পর্যন্ত বিমান ছিনতাইয়ের পেছনের কারণ জানা যায়নি। কিছু কিছু খবরে বলা হচ্ছে, স্ত্রীর সঙ্গে সাইফের বিচ্ছেদ হয়ে গেছে আগেই। তার স্ত্রী সাইপ্রাসেরই নাগরিক। সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার জন্যই তিনি এ পথ বেছে নিয়েছিলেন। তাছাড়া মিশরের নারী বন্দীদের মুক্তির জন্যও সাইফ এ কাজ করে থাকতে পারেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে কিছু খবরে।