নিউজিল্যান্ডের বোলারদের দাপটে অসহায় ছিল গ্রুপ পর্বের খেলায় তাদের প্রতিপক্ষরা। ভারত ১২৬ রানের জবাবে হারে ৪৭ রানে। বাংলাদেশ ১৪৫ রানের অর্ধেকও করতে পারেনি। বুধবার ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের সামনে অসহায় কিউই বোলাররা। ২ উইকেটে ১১০ রান করার পর দ্বিতীয় উইকেট হারালো ইংল্যান্ড। ১৩তম ওভারের প্রথম বলে আউট হলেন দুর্দান্ত জেসন রয়। ২৬ বলে ফিফটি করা রয় ৪৪ বলে করেন ৭৮ রান। দুটি ছক্কা আর একটি ১১টি চার মারেন তিনি। লেগ স্পিনার ইশ সোধির বলে স্টাম্পড হন তিনি। পরের বলে লেগ বিফোর উইকেট ইয়ন মরগান। ১৩ ওভার শেষে স্কোর ১১৭/৩।
নবম ওভারে এসে সাফল্যের মুখ দেখলো নিউজিল্যান্ড। স্পিনার স্যান্টনারের বল হাঁকাতে গিয়ে ধরা পড়েন ওপেনার অ্যালেক্স হেলস। তার সংগ্রহ ১৯ বলে ২০। অপর প্রান্তে ৫০ পেরিয়ে গেছেন জেসন রয়।
১৫৪ রানের জবাবে ৫ ওভারে ইংল্যান্ডের ছিল সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৬০ রান। প্রথম ওভারে ইংল্যান্ড তুলে নেয় ১৬ রান। চারটি চার মারেন জেসন রয়। পরের ওভারে তারা নেয় ৭ রান। তৃতীয় ওভারে চার আর ছয়ে যোগ হয় আরও ১৩ রান। তিন ওভারে বিনা উইকেটে সংগ্রহ ৩৬। এরপরে দুই ওভারে তুলে নেয় তারা আরও ২৪ রান।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ইংল্যান্ডের সামনে ১৫৪ রানের টার্গেট ছুড়ে দেয় নিউজিল্যান্ড। টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনালে দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটে গিয়ে কিউইরা সংগ্রহ করেছে ৮ উইকেটে ১৫৩ রান। কলিন মুনরো ৩১ বলে করেন সর্বোচ্চ ৪৬ রান। ২৮ ম্যাচে ঠিক ৫০০ রান পূর্ণ হলো তার। এছাড়া কোরি অ্যান্ডারসন করেন ২৩ বলে ২৮ রান। এর আগে মার্টিন গাপটিল ১৫ ও কেন উইলিয়ামসন ৩২ রানে ফেরেন। ইংলিশ পেসার বেন স্টোকস ২৬ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। স্টোকস শেস ওভারে মাত্র তিন রান দেন যার দুটি আসে অতিরিক্ত হিসাবে। শেষ চার ওভারে মাত্র ২০ রান তুলতে সক্ষম হয় যা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যে কোন দলের সবচেয়ে কম রান।
চলতি আসরে একমাত্র অপরাজিত দল হিসেবে শেষ চারের টিকিট কেটেছে নিউজিল্যান্ড। প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক ভারতকে হারিয়ে তারা মিশন শুরু করে। আর শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে উড়িয়ে দিয়ে শিরোপার জন্য হট ফেভারিট কিউইরা। অন্যদিকে প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারে ইংল্যান্ড। কিন্তু পরে টানা তিন ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে তারা। ইংল্যান্ডের প্রেরণা আজ ২০১০ সাল। সেবারের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে শিরোপা জেতে তারা। সেটা ছিল ইংল্যান্ডের প্রথম বৈশ্বিক কোনো শিরোপা। আর এবার তারা শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলকে টপকে শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে। অথচ টুর্নামেন্ট শুরুর আগে তাদেরকে কেউ হিসাবেই রাখেনি। বিশেষকরে উপমহাদেশের মাটিতে এবারের আসর বলে। অন্যদিকে দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ড। ২০০৭ সালে শেষ চারে উঠলেও সেবার বিদায় নিতে হয় তাদের। তবে প্রথমবারের মতো এবার ফাইনালে ওঠার পথে তারা।
টুর্নামেন্টের অন্য সেমিতে আগামীকাল মুখোমুখি হবে স্বাগতিক ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।