ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ শহরের ছাত্র ছাত্রীর অভিভাবক বাড়ির মালিকরা পড়েছেন ব্যাপক আতঙ্কে ও অস্বস্তিতে। সেই সঙ্গে ঝিনাইদহের এলাকাবাসীও আতঙ্কগ্রস্থ। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন ছাত্র ছাত্রীর অভিভাবক ও মেস বাসার মালিকরা। এরই মধ্যে কোনো কোনো ছাত্রাবাসের মালিক মেস উঠিয়ে ফ্যামিলি বাসা ভাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ঝিনাইদহের সোনালীপাড়ার এক ছাত্রাবাসের মালিক শরিফুল হাসান জানান, ছাত্রাবাস ভাড়া দেওয়ার মতো কোনো অবস্থা এখন আর নেই। গুলশানে হলি আর্টিসানে হামলাকারীদের একজন নিবরাস ইসলাম হামলার আগে ঝিনাইদহে ৪ মাস অবস্থান করেছিল।
পরে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতে হামলাকারী আবিরও মাসখানেক ঝিনাইদহের সোনালীপাড়ার এক ছাত্রাবাসে ছিল।
তিনি বলেন, ‘আমি ছাত্রাবাসের সবাইকে বলেছি, আগামী মাস থেকে তারা যেন রুম ছেড়ে দেয়।’
সোনালীপাড়ায় অর্কিড ছাত্রাবাসের মালিক লিয়াকত হোসেন বলেন, ‘আমার মেসে তিনটি কক্ষে ১২ জন সদস্য থাকে। এদের সবাই বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তাদের আইডি কার্ডের ফটোকপি নিয়ে মেসে সিট দেওয়া হয়েছে। কিšু‘ তারা যদি নকল কার্ড দেয় বা ভুল তথ্য দিয়ে অপরাধমূলক কাজ করে তাহলে আমাদের কী করার আছে?’
এদিকে ঝিনাইদহ জেলার গ্রামের অঞ্চলের সাধারন অভিভাবক ও ছাত্র ছাত্রীরা ব্যাপক আতঙ্কে নিজনিজ সন্তানদের মেসে না রেখে বাড়িতে ফেরত নিয়ে আসছেন। এতে যথেষ্ট পড়াশোনার ক্ষতিগ্রস্ত হবে ছাত্র ছাত্রীরা বলে জানিয়েছেন নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক অভিভাবকগন।
ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরেন্দ্রনাথ সরকার জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে মেসের মালিকদের জীবন বৃত্তান্ত, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, চাকরিজীবিদের আইডি কার্ডের ফটোকপিসহ যাবতীয় তথ্য থানায় জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দু’একদিনের মধ্যে আমরা সেগুলো হাতে পাব।
পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন জানান, এখন থেকে ঝিনাইদহে মেস ভাড়া দিতে হলে পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। কে থাকবে আর কে থাকবে না সেটা পুলিশ যাচাই বাছাই করে দেখবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহ শহর ও আশেপাশে প্রায় ২২০-২৫০টি টির মতো ছাত্রাবাস ও মেস আছে।