বয়স কম হওয়ায় মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীর বিয়ের দিতে রাজী না হওয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় শিক্ষার্থীর মা ৩ সন্তানের জননী রেহেনা বেগম (৩০) নিহত হয়েছে। নিহত গৃহবধূ মকিম উদ্দিনে স্ত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নে ৮নং ওয়ার্ড তারাপুর ঢাক্কী পাড়া গ্রামে। নিহতরেহেনা বেগমের দেবর শিক্ষার্থী আব্দুর রাকিব, জানান রেহেনা বেগম ও মকিম উদ্দিনের ৮মশ্রেণীতে পড়ুয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে একই এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও গ্রাম্য চিকিৎসক হোসেন আলির ছেলে বারিকুল্লাহ বিয়ে প্রস্তাব দিলে বয়স না হওয়ায় বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যখান করে।
পরে আবারো একাধিক বার বিয়ের প্রস্তাব দিলেও একই কারনে প্রত্যখান করায় পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী শনিবার রাতে গ্রাম্য জামায়াতের (সমাজব্যবস্থা)অজুহাতে শালিস বসিয়ে মকিমকে তাদের জামায়াতে থাকতে বাধ্য করার চেষ্টা করলে মকিম তা প্রত্যখ্না করে। এ সময় হোসেন মাস্টারের লোকনজন ইব্রাহিম,মহসিন, হোসেনসহ তার ২৫/৩০জন দলবল অর্তকিত ভাবে মকিম ও তার ভাই রাকিবের উপর হামলা করলে তারা প্রাণ ভয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় তারা মকিমের ঘরে প্রবেশ করে ঘরে থাকা ভুট্টা , আম ও অন্যান্য কৃষিপণ্য বিক্রী করা ৯ লাখ টাকা লুটপাট করার সময় মকিমের স্ত্রী রেহেনা বেগম নিষেধ করায় তাকে বিভিন্নভাবে আঘাত করে ও ঘাড় মুচিিড়য়ে দেয় এবং বাড়ির অন্যান্য মহিলাদেরকে এলোপাতাড়ী মারপিট করে। এ সময় তারা বাড়িঘর ভাংচুর করে। শুধু তাই নয়।
এ সময় তারা বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে বাড়ির উঠানে পাহাড়া থেকে কাউকে বের হতে না দেয়ায় না চিকিৎসায় রাত সাড়ে ১১টায় রেহেনা বেগম মারা যায়। এব্যাপারে শিবগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুল ইসলাম হাবিব জানান, সাংবাদ পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।এ ঘটনায় ৪জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতর হলো বেলাল উদ্দিন,পানতারা বেগম,চামেলাী বেগম ও চাঁদনী বেগম। এসআই রবিউল করিম জানান, নিহতের সাস্বী মকিম উদ্দিন বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় ৩০জনের নাম উল্লেখ পূর্বক একটি এজাহার দিয়েছে। মামলা প্রস্তুুতি চলছে।