‘আমাদের চলচ্চিত্রে যে সরকারি অনুদানের ব্যবস্থা রয়েছে, তাতে কি আমাদের চলচ্চিত্র উপকৃত হচ্ছে? একসময় অনুদান হিসেবে দেওয়া হতো ২০ লাখ টাকা। তারপর ৪০, এখন ৬০ লাখ টাকা দেওয়া হচ্ছে। তবে সমস্যা হচ্ছে, যখন যে সরকার ক্ষমতায় থাকে, তাদের কাছের মানুষগুলো এই অনুদান নেন। তা হলে চলচ্চিত্রের কী লাভ হলো? আমি মনে করি, সারাবছর যে ছবিগুলো নির্মাণ করা হয়, তার মধ্যে ভালো ১০টি চলচ্চিত্রকে এই অনুদান দেওয়া হোক। এতে করে প্রযোজক তাঁর চলচ্চিত্রটি আরেকটু ভালো করার চেষ্টা করবেন।’ জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস উপলক্ষে গতকাল বুধবার সকালে বিএফডিসিতে এসব কথা বলেন নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ হাসান ইমাম, নায়ক আলমগীর, নায়িকা অঞ্জনা, রোজিনা, পরিচালক মুশফিকুর রহমান গুলজারসহ অনেকে।

ইলিয়াস কাঞ্চন আরো বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমি ধন্যবাদ দিতে চাই। কারণ আমি দেখেছি, আমাদের চলচ্চিত্রের শিল্পীরা যখন সমস্যায় পড়েছেন, তিনি হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। টাকা দিয়ে সাহায্য করেছেন। তবে আমার প্রশ্ন, আমাদের এ অবস্থায় যেতে হবে কেন, যে কারণে শেষ বয়সে হাত পাততে হয়? আমরা কেন এর আগেই ব্যবস্থা গ্রহণ করে রাখি না?’

বাংলাদেশে চলচ্চিত্রের উন্নয়নের জন্য সরকারের সহযোগিতা চেয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘কলকাতার চলচ্চিত্র একসময় আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকত। আজ তারা আমাদের অনেক ওপরে। আমি মনে করি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সঠিকভাবে যত্ন নিয়েছেন, তাই তারা ওইভাবে বেড়ে উঠেছে। একজন শিশুকে যদি তার পিতামাতা সঠিকভাবে যত্ন না নেন, তা হলে সে সঠিকভাবে বেড়ে উঠতে পারে না। তাই আমি সরকারের কাছে অনুরোধ করব আপনারা সঠিকভাবে আমাদের যত্ন নিন। তা হলে একসময় আমাদের শিল্পী, টেকনিশিয়ানদের আর হাত পাততে হবে না। বরং আমরাই অন্যের পাশে দাঁড়াতে পারব।’

জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা থেকে তারকা শিল্পীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে এফডিসিতে। এতে মূল আকর্ষণ হিসেবে থাকবে ঢাকাই ছবির একসময়কার জনপ্রিয় নায়ক জাভেদ ও অঞ্জনার পরিবেশনা। এ ছাড়া মঞ্চ মাতাবেন মাহিয়া মাহি, নিরব, মৌমীতা মৌ, ইমন, সাইমন সাদিক, আইরিন, জয় চৌধুরী, রোমানা নীড়, সানজু জন, বিপাশা কবিরসহ এ প্রজন্মের নায়ক-নায়িকারা।