বলিউডের শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চন। তাকে অনুসরণ কিংবা অনুকরণ করেন এমন ব্যক্তির সংখ্যা নেহায়েত কম না। তবে তিনিও যে কাউকে না কাউকে অনুসরণ করেন এটা অনেকেরই অজানা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তার জীবনের দুজন অনুসরণীয় ব্যক্তির কথা ফাঁস করেছেন অভিনেতা।
অমিতাভ বলেন, ওয়াহিদা রেহমান তার চোখে সবচেয়ে সুন্দরী নারী। ওয়াহিদা রেহমানকে একজন সম্পূর্ণ ভারতীয় নারী বলা যায়। গোটা জীবনে ওয়াহিদা রেহমানের মতো এত সুন্দরী আর কাউকে দেখেননি বলেও জানান অমিতাভ।
তিনি আরও বলেন, ওয়াহিদা রেহমান অত্যন্ত ভালোমানের একজন অভিনেত্রী। বলিউডে তার মতো সাবলীল অভিনয় অনেকেই করতে পারেন না। বলিউডে তার বহু অবদান আছে।
স্মৃতি হাতড়ে অমিতাভ বলেন, ‘রেশমা অর শেরা’ ছবির শুটিঙয়ের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন অমিতাভ। ওই সিনেমার একটি দৃশ্যের শুট করতে সুনীল দত্ত ও ওয়াহিদা রেহমানকে মরুভূমিতে নিয়ে যাওয়া হয়। মরুভূমির অত্যন্ত গরম বালিতে খালি পায়ে দাঁড়াতে পারছিলেন না ওয়াহিদা। তখন পরিচালক নির্দেশ দেন, ওয়াহিদা জুতো পরে ওই দৃশ্যের শুট করবেন। কথাটি শোনার পর ওয়াহিদার জন্য জুতো হাতে নিয়ে যান অমিতাভ।
উল্লেখ্য, ত্রিশূল, আদালত, নমক হালালসহ বেশ কয়েকটি সিনেমায় ওয়াহিদা রহমানের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেন অমিতাভ।
এছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গেও ওয়াহিদা রেহমানের অন্যরকম একটি সম্পর্ক আছে। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাত্রিতে বাংলাদেশে গণহত্যা শুরু হলে মুম্বাইয়ের অধিকাংশ সংবাদপত্র এর সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়। মুম্বাইয়ের পেশাজীবী সচেতন মানুষ বাংলাদেশে গণহত্যার প্রতিবাদে ঐক্যবদ্ধ হন। বাংলাদেশকে সহায়তা করার লক্ষ্যে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে তারা মুম্বাইয়ের সাংবাদিক সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসায় সমবেত হন। সভায় আলোচনাক্রমে মহারাষ্ট্রে ‘বাংলাদেশ এইড কমিটি’ গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কমিটির সভাপতি, সহ-সভাপতি ও অনারেরি সেক্রেটারি মনোনীত হন যথাক্রমে মুম্বাইয়ের ব্যবসায়ী হরিশ মহেন্দ্র, সাংবাদিক সলিল ঘোষ ও ওয়াহিদা রেহমান। কমিটি মুক্তিযুদ্ধে সমর্থন দিতে নানাবিধ ভূমিকা গ্রহণ করে। এক্ষেত্রে সেখানে ওয়াহিদা রেহমানের অবদান ছিল অতুলনীয়।