ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালকে দিল্লির সহিংসতা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি দ্বিতীয়বারের মতো বুধবার রাতে সহিংসতাকবলিত এলাকা পরিদর্শনের পর সেখান থেকে অব্যাহতভাবে অগ্নিসংযোগ ও অস্থিরতার খবর পাওয়া গেছে। উত্তরপূর্ব দিল্লির ভজনপুর, মৌজপুর, কারাওয়ালনগরে বুধবার দিনশেষে সহিংসতা হয়েছে। সব মিলে নিহতের সংখ্যা বাড়ছেই। এনডিটিভি বলেছে, আজ সকালেও ওই এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। নিহতের সংখ্যা ৩২। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০০। সবাইকে শান্ত ও ভাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ থাকার জন্য প্রথমবারের মতো বুধবার বিবৃতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অন্যদিকে সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য তোপের মুখে রয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
ওদিকে এসব ঘটনায় ১৮টি এফআইআর করেছে দিল্লি পুলিশ। সহিংসতায় যুক্ত থাকার অভিযোগে তারা গ্রেপ্তার করেছে ১০৬ জনকে। পুলিশ বলেছে, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ওদিকে সহিংসতার দায় মেনে নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কংগ্রেস প্রধান সোনিয়া গান্ধী। এই দায় মাথায় নিতে তার পদত্যাগ দাবি করেছেন তিনি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকেও ছেড়ে কথা বলেন নি তিনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না নেয়ার জন্য তিনি কেন্দ্রীয় ও দিল্লি সরকারকে দায়ী করেন। ওদিকে বিজেপির প্রতি আক্রমণ শাণিয়েছেন সোনিয়া গান্ধী কন্যা প্রিয়াংকা গান্ধী ভদ্র।
বিজেপি নেতাদের লজ্জাজনক হিংসাত্মক বক্তব্যের বিষয়ে নীরব থাকার কারণে তিনি বিজেপির কড়া সমালোচনা করেছেন। অন্যদিকে ভারতের সুপারস্টার বলে পরিচিতি পাওয়া রজনিকান্তও ভারত সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন। সহিংসতার বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের গোয়েন্দা ব্যর্থতা আছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। সম্প্রতি তিনি নাগরিকত্ব সংশোধন বিলে সমর্থনের বিষয়ে বলেছিলেন যে, তিনি বিজেপির মুখপাত্র নন। এবার দিল্লি সহিংসতা নিয়ে তিনি বলছেন, অবশ্যই এটা কেন্দ্রীয় সরকারের গোয়েন্দা ব্যর্থতা। এ জন্য আমি কেন্দ্রীয় সরকারের কড়া নিন্দা জানাই। বিক্ষোভ তো কঠোর হাতে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত ছিল। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাদের কাজ করে নি। গোয়েন্দা ব্যর্থতার অর্থ হলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতা।