রাজশাহী মহানগরীর ছোটবনগ্রাম কৌটাপুকুর এলাকায় কাজ করার সময় সীমানা প্রাচীর ধসে এক শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
শনিবার রাতে নিহত শ্রমিক রিয়াজুল ইসলামের বাবা বাদী হয়ে মহানগরীর চন্দ্রিমা থানায় মামলাটি করেন। এতে নির্মাণাধীন বাড়ির মালিক এনতাজ আলীকে আসামি করা হয়। রাতেই পুলিশ এনতাজকে গ্রেফতার করেছে।
চন্দ্রিমা থানার ওসি এমরান হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ৩০৪ (ক), ৩৩৭ ও ৩৩৮ ধারায় মামলাটি করা হয়েছে। এতে কাজের সময় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না রেখে অসাবধানতার মাধ্যমের শ্রমিককে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
তিনি জানান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে নিহত শ্রমিকের মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। এরপর মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গ্রেফতার আসামিকে সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
শনিবার দুপুরে এনতাজ আলীর পাঁচতলা ভবনের ভিত খননের কাজ করছিলেন ১৭ জন শ্রমিক। ভিত কাটার সময় জমির পূর্বপাশে ছিল সীমানা প্রাচীর। প্রাচীরের ওপাশে রাখা ছিল ইটের খোয়া। ভিত কাটার কারণে খোয়ার চাপে সীমানা প্রাচীরটি শ্রমিকদের গায়ের ওপর পড়ে। এতে পাঁচজন চাপা পড়েন। তাদের হাসপাতালে নেওয়া হলে রিয়াজুলকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
শ্রমিকরা জানান, ভবনের ভিত কাটার সময় সীমানা প্রাচীরের ভিত থেকে মাটি সরে যায়। এতে প্রাচীরটি পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। তখন তারা প্রাচীরটিতে এপাশ থেকে ঠেকা দেওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু এই প্রটেকশন দেওয়া হয়নি। ফলে প্রাচীরটি ধসে যায়।