রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে রোববার (২৮ আগস্ট) থেকে কম দামে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নে বিক্রিকৃত পেঁয়াজ পচা বলে ভোক্তারা অভিযোগ করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গোয়ালন্দ উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকার মধ্যে ৯ সহস্রাধিক পরিবারের মধ্যে টিসিবির পণ্য বিক্রির একটি তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। মেসার্স শাপলা ট্রেডার্স ও মেসার্স জামান ট্রেডার্সের জন্য ডিলার নিযুক্ত হয়েছে।
রোববার দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্বর থেকে এই বিক্রি কার্যক্রম শুরু করা হয়। এখান থেকে দিনব্যাপী শাপলা ট্রেডার্স বিতরণ করে ১ হাজার ৭শ প্যাকেজ। অপরদিকে চর দৌলতদিয়া হামেদ মৃধার হাট হতে জামান ট্রেডার্স বিতরণ করে ৯শ প্যাকেজ। ৪৬৫ টাকার প্রতি প্যাকেজে রয়েছে দুই কেজি ডাল, দুই লিটার তেল, এক কেজি চিনি ও তিন কেজি পেঁয়াজ।
বাজারে দ্রব্যমূল্যের দাম বেশি থাকায় সাধারণ জনগণকে স্বস্তি দেওয়ার জন্য সরকার কম দামে টিসিবির মাধ্যমে পণ্য বিক্রি শুরু করেছে। কিন্তু ভোক্তাদের অভিযোগ, সরকারের এই মহতী উদ্যোগের সুযোগ নিচ্ছেন ডিলাররা।
মোস্তাক হোসেন, মোজাম্মেল হক, মালেক মণ্ডলসহ কয়েকজন বলেন, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ হতে তারা ৪৬৫ টাকা দিয়ে একটি করে প্যাকেজ নেন। তাতে অন্যান্য মালামাল ভালো থাকলেও পেঁয়াজগুলো একেবারেই পচা। ঘরে রাখা যাবে না। আজকালের মধ্যেই সব পেঁয়াজ পচে গলে যাবে।
তারা আরও বলেন, সরকার তো সাধারণ মানুষের খাবারের জন্য ভালো পণ্য দিচ্ছে। কিন্তু ডিলাররা কম দামের পচা পেঁয়াজ দিয়ে মানুষকে ঠকাচ্ছে।
অভিযোগের বিষয়ে মেসার্স শাপলা ট্রেডার্সের মালিক রঞ্জন রাহা বলেন, মাদারীপুরের টেকেরহাট আঞ্চলিক অফিস হতে গত বৃহস্পতিবার পেঁয়াজসহ টিসিবির অন্যান্য মালামাল প্যাকেট করা হয়। মাঝে শুক্র ও শনিবার দুই দিন সরকারি ছুটে গেছে। ফলে পলিথিনের প্যাকেটে কিছু পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে। এখানে আমাদের কারো কোনো অসৎ উদ্দেশ্য বা গাফিলতি নেই।
দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মণ্ডল বলেন, এসিল্যান্ড সরেজমিন এসে পচা পেঁয়াজ না দিতে ডিলারকে সতর্ক করা ছাড়াও জনপ্রতি ২৫০ গ্রাম করে পেঁয়াজের দাম কম রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, টিসিবির পচা পেঁয়াজের বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। বিষয়টি দেখার জন্য এসিল্যান্ডকে সরেজমিন পাঠিয়েছিলাম। পচা পেঁয়াজ বা নিম্নমানের সামগ্রী বিতরণ করতে ডিলারকে সতর্ক করে দিয়েছি।