এবার রেজিস্ট্রেশন ছাড়া যাওয়া যাবে না সেন্টমার্টিন

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কালে একাধিকবার রেজিস্ট্রেশন ছাড়া সেন্টমার্টিন যাওয়া যাবে না মর্মে সীদ্ধান্ত ও প্রজ্ঞাপন জারি করেও তা বাস্তবায়ন করা যায়নি এবার একই ঘোষণা এলো অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে।

বৃহস্পতিবার সাগরতীরের তারকা হোটেল সি-গালের সম্মেলন কক্ষে সেন্টমার্টিন দ্বীপে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধে কনসালটেশন সেমিনারে সভাপতির বক্তব্য রাখেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আব্দুল হামিদ। এসময় তিনি ঘোষণা দেন, রেজিস্ট্রেশন ছাড়া সেন্টমার্টিন যাওয়া যাবে না।

মহাপরিচালক বলেন, সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিত করে পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি সেখানকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করা হবে। বিশ্বমানের পর্যটন শহর হিসেবে গড়তে কক্সবাজারকে প্লাস্টিক মুক্ত করতে খুব দ্রুত কাজ শুরু করা হবে। তবে, প্লাস্টিক মুক্ত রাখার প্রচেষ্টার এ যাত্রায় সবার আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।

পাহাড় কাটা ও জলাশয় ভরাটের বিষয়ে কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না জানিয়ে আব্দুল হামিদ বলেন, এজন্য জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে মন্ত্রণালয় থেকে। দেশের নদীগুলোর দূষণ নিয়েও আমরা কাজ করছি। নদীগুলোকে দূষণমুক্ত রাখতে এরইমধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তর বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, গত দেড় দশক ধরে তৎকালীন সরকার একাধিকবার ঘোষণা করেছিল রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে সেন্টমার্টিনে পর্যটক যাওয়া সীমিত করা হবে। কিন্তু নানা কারণে এটা তখন আর সম্ভব হয়ে ওঠেনি। আমরাও চাই গোছানো পর্যটনে দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন ও কক্সবাজার সমৃদ্ধ হোক।

গত বছরের ২৩ মে এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়াও প্রজ্ঞাপন সেন্টমার্টিন দ্বীপে কোনো তথ্য সংগ্রহের জন্য যেতে এখন থেকে পরিবেশ অধিদপ্তর ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে সাংবাদিকদের। এছাড়া দ্বীপে সেমিনার, কর্মশালা, দলবদ্ধ ভ্রমণ, শিক্ষা সফর, গবেষণা, নমুনা সংগ্রহ এবং স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান র্কতৃক পরিচালিত সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম করতে চাইলেও পূর্বানুমতি নিতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *