এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে অ্যামাজন সিইও জেফ বেজোস স্মার্টফোন অ্যামাজন ফায়ার উন্মোচন করেছেন।
প্রযুক্তি বিষয়ক সাইট দ্য ভার্জের তথ্য অনুসারে, অ্যামাজন ফায়ারে রয়েছে ৪.৭ ইঞ্চির ৭২০ পিপিআই ডিসপ্লে। স্মার্টফোনটিতে আরও রয়েছে অ্যালুমিনিয়াম বাটন, কোয়ালকম প্রসেসর, আড্রিনো ৩৩০ গ্রাফিক্স, দুই গিগাবাইট র্যাম এবং এফ২.০ অ্যাপারচার লেন্সসহ ১৩ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা।
জেফ বেজোস জানিয়েছেন, হ্যান্ডসেটটির স্টেরিও স্পিকার অন্যান্য ফোনের তুলনায় ভালো হবে এবং হেডফোন জট পাকাবে না।
অ্যামাজনের প্রথম এই স্মার্টফোনটির অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ফায়ার ওএস ৩.৫.০। ব্যবহারকারী হালকা নাড়ানোর মাধ্যমেই স্মার্টফোনের মেনু নিয়ে আসতে পারবেন এবং ওয়েবপেইজে স্ক্রল করতে পারবেন। এছাড়াও ফায়ার ফোনের সাইড-বাটনের মাধ্যমে ‘ফায়ারফ্লাই’ নামের একটি অ্যাপ চালু করা যাবে। অ্যাপটি স্মার্টফোনের টেক্সট, ছবি এবং শব্দ চিনতে পারবে বলেই জানিয়েছে অ্যামাজন।
অ্যাপটির মাধ্যমে গানের নাম, চিত্রশিল্পসংক্রান্ত তথ্যসহ এই ধরনের বিভিন্ন তথ্য খুঁজে বের করা যাবে। তবে অ্যাপটির সেবা অ্যামাজন কম্পিউটার সার্ভারের উপর নির্ভরশীল হওয়ায় ফোন অফলাইনে থাকলে অ্যাপটির এ সুবিধাগুলো পাওয়া যাবে না। ফায়ারফ্লাই অ্যাপটি ফায়ার স্মার্টফোনের গ্রাহকদের অ্যামাজন থেকে কেনার ব্যাপারে উৎসাহিত করতে পারে বলে জানিয়েছে বিবিসি। অন্যদিকে অ্যামাজন জানিয়েছে, তাদের অ্যাপ স্টোর ২০১৩ সালে তিনগুণ সমৃদ্ধ হয়েছে।
ডিভাইসটির মাধ্যমে অ্যামাজন আরও কিছু অনলাইন সেবা দেবে বলেই জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ডিভাইসটির মাধ্যমে যতো ছবি তোলা হবে তার সবই অ্যামাজনের ইন্টারনেটভিত্তিক স্টোরেজ সেবায় রাখা যাবে। এছাড়াও প্রাইম মিউজিকের মিউজিক-স্ট্রিমিং সুবিধা পাবেন স্মার্টফোনটির গ্রাহকরা।
বিবিসি জানিয়েছে, ফায়ার ফোনের বেসিক সংস্করণ মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এটিঅ্যান্ডটি-এর সঙ্গে দুই বছরের চুক্তিতে কেরা যাবে। ওই প্যাকেজে ৩২ গিগাবাইট স্টোরেজের অ্যমাজন ফায়ার স্মার্টফোনটির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে একশ’ ৯৯ ডলার।