প্রাণনাশের আশঙ্কা করছেন ফেনীর সাবেক সংসদ সদ্স্য জয়নাল আবেদিন হাজারী। এ শঙ্কা থেকে তিনি রাজধানীর ধানমণ্ডি থানায় সাধারন ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
এদিকে গত রোববার বিকেল সাড়ে ৩টায় সৌদি এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে পবিত্র ওমরাহ পালনের উদ্দেশে সৌদি আরব গেছেন ফেনীর আলোচিত সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী।
তবে ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে নিজাম হাজারীর সৌদি আরব গমনকে স্বাভাবিকভাবে দেখছেন না জয়নাল হাজারী। তিনি আশঙ্কা করছেন, তাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই নিজাম হাজারী সৌদি গেছেন।
এদিকে গত সোমবার জয়নাল হাজারী সম্পাদিত দৈনিক ‘হাজারিকা প্রতিদিন’ পত্রিকার প্রধান শিরোনামে ছিল ‘‘নিজামের সৌদি গমনের আসল উদ্দেশ্য কী? ওমরা পালন না হাজারীকে শেষ করা’’
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘একরাম হত্যার আগেই হাজারীকে হত্যার নীলনকশা করা হয়েছিল। সেই নীলনকশা মোতাবেক নিজাম সিঙ্গাপুরে গিয়েছিল স্ত্রীকে নিয়ে। ফেনীতে তার ক্যাডারদের তখন একটি ঘরে আত্মগোপনে রাখা হয়েছিল।’
‘প্রচার করা হয় র্যাবের তালিকায় এদের নাম আছে তাই এখন সবাই আত্মগোপনে আছে। আসলে ওই ক্যাডাররা বিশেষ করে পেট্রেবাংলা এলাকার সন্ত্রাসীরা সেই এলাকারই একটি ঘরের মধ্যে থাকতো। রাত ১২টা থেকে সকাল ৬টার মধ্যে এরা দু-এক জন বাইরে আসতো। কিন্তু দিনের বেলায় বাইরে আসা নিষিদ্ধ ছিল।’
‘ওদের ধারণা ছিল, এরুপ প্রচার হলে হাজারী ঢাকা থেকে ফেনী আসবে এবং এলেই তাকে হত্যা করা হবে। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ৩টি স্পট ঠিক করা হয়েছিল। এর মধ্যে একটি মোহাম্মদ আলী বাজার অন্যটি কানন সিনেমার সম্মুখে অথবা মহিপাল এলাকা। সেই যাত্রায় হাজারী ফেনীতে না যাওয়ায় তাদের সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে।’
‘এরপর তারা টার্গেট করে একরামকে। কিন্তু একরামকে হত্যা করেও যখন তাদের মূল উদ্দেশ্য সফল হয়নি এখন কেউ কেউ ধারণা করছে এবার টার্গেট হচ্ছে হাজারী।’
‘এখন হাজারীকে শেষ করতে পারলেই আর মামলা মোকদ্দমা হবে না, মিডিয়াতে কিছুই প্রকাশিত হবেনা, নেতা-নেত্রীদের কাছেও আসল খবর পৌঁছাবে না।’
এ ব্যাপারে জয়নাল হাজারী মোবাইল ফোনে বলেন, “নিজাম হাজারী আমাকে মেরে ফেলার জন্য ঢাকায় কিলার ভাড়া করেছে। এই ফাঁকে সে বিদেশে চলে গেছে। এটি তার পরিকল্পনারই অংশ। তাই আমার জীবননাশের আশঙ্কা থেকেই রোববার রাতে ধানমণ্ডি থানায় জিডি (নং-৯৩৬) করেছি।”