“সুইস ব্যাংকে কে কত টাকা পাচার করেছেন, তার তালিকা হচ্ছে। দেশের টাকা আমরা দেশে ফিরিয়ে আনবোই” – বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার দশম জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে প্রস্তাবিত ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ”সরকার বিদেশে পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে। অতীতেও দেশের সম্পদ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করা টাকা আমরা ফিরিয়ে এনেছি।”
শেখ হাসিনা বলেন, ”আমরা নিজেদের আখের গোছাতে ক্ষমতায় আসিনি। আমরা জনগণের সেবা ও কল্যাণের জন্য এসেছি। তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ও জীবনমানের উন্নয়ন করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। বাংলাদেশের মানুষ যাতে খেয়ে-পরে শান্তিতে বাস করতে পারে-সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করছি। বরং ক্ষমতায় যারা উড়ে এসে জুড়ে বসে তারাই কেবল নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত থাকে।”
প্রস্তবিত ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরের বাজেটকে অত্যন্ত সময়োপযোগী জানিয়ে তিনি বলেন,” হঠাৎ করে আমরা এই বাজেট দেইনি। আওয়ামী লীগই একমাত্র দল যাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা রয়েছে। দেশের মানুষের কল্যাণে এই দলের একটি অর্থনৈতিক নীতিমালা ও দর্শন, ঘোষণা পত্র ও নির্বাচনী ইশতেহারও রয়েছে। সেই অর্থনৈতিক নীতিমালা এবং ইশতেহার বাস্তবায়নের প্রতি লক্ষ্য রেখেই আমরা বাজেট দিয়ে থাকি। এবারও সেভাবেই বাজেট দেওয়া হয়েছে।”
অতীতের বিরোধী দল বিএনপি ও জামায়াত েরএমপিদের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ”১৯৮৬ সাল থেকে সংসদে আছি। ১৯৯৬ ও ২০০৯ সালে যখন সরকারে ছিলাম তখন দেখেছি, সংসদে বিএনপি-জামায়াতের অশালীন বক্তব্য, ফাইল ছোঁড়াছুঁড়ি, ফোল্ডার ছিঁড়ে ফেলা, চেয়ার ছুঁড়ে মারা, যেগুলো ছিল খুবই লজ্জাজনক। সেখানে কোনো গঠনমূলক আলোচনা ছিল না, মনে হতো সংসদ যেন খিস্তি খেউড়ের জায়গা। সেটি ছিল দেশ ও গণতন্ত্রের জন্য লজ্জার এবং দেশের ভবিষ্যৎকে অন্ধকারে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা।”