প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুক্তরাজ্য সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন মাত্রায় উন্নীত হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমি মনে করি বাংলাদশের অর্থনীতি ও সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে এই সফর অত্যন্ত সফল ও ফলপ্রসূ হয়েছে। এর মাধ্যমে আমাদের দু’দেশের সুসম্পর্ক এক নতুন মাত্রায় উন্নীত হবে।”
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার পর গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সকল শক্তির সঙ্গে সম্পর্ক আরো দৃঢ় ও স্থায়ী করাই আমাদের সরকারের লক্ষ্য। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে আমাদের সরকার যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন অনেক বেশি সচেষ্ট।”
গার্ল সামিটে অংশগ্রহণ এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর তিন দিনের যুক্তরাজ্য সফর শেষে গত বৃহস্পতিবার দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে গার্ল সামিটে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের আমন্ত্রণে গত সোমবার লন্ডন পৌঁছান শেখ হাসিনা। টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই ছিল যুক্তরাজ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম সফর।
লন্ডনে পৌঁছানোর পরদিন মঙ্গলবার ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। অর্থনীতি, সামাজিক ও নারী উন্নয়নে অগ্রগতির ‘ভূয়সী প্রশংসা’ করে ডেভিড ক্যামেরন বাংলাদেশকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন। এই সাফল্য কীভাবে এলো- তা দেখতে বাংলাদেশ সফরেরও আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।
গার্ল সামিটে অংশ নিয়ে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে বাল্যবিয়ে কমে আসার চিত্র এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন। এছাড়া সম্মেলনের ফাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এবং ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালকের সঙ্গেও বৈঠক করেন শেখ হাসিনা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এবং মহিলা ও শিশু-বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এই সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গী ছিলেন।