রাজধানীর পৃথক স্থানে তিন জনের অপমৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন একেএম সাইফুল্লাহ (৫৫), মমতাজ বেগম (৩০) ও ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ (১৫)। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। শনিবার রাতে ও গতকাল এ ঘটনা ঘটে। পারিবারিক ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রাত ৮টায় উত্তরখানের মাস্টারপাড়ায় রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি যাত্রীবাহী বাস সাইফুল্লাহকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। উত্তরখান থানার এসআই শরিফুল ইসলাম জানান, ‘নিহত ব্যক্তি সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা ছিলেন। মাস্টারপাড়ার ৮৪২ নম্বর বাসায় পরিবারের সঙ্গে তিনি থাকতেন। দুর্ঘটনার জন্য দায়ী বাস ও তার চালককে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। তার বাবার নাম আব্দুল গফুর চৌধুরী। গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার সদর থানার রইসপুর এলাকায়। অন্যদিকে, দুপুর সাড়ে ১২টায় মতিঝিল থানাধীন ফকিরাপুলের কমলগলির ৫৬/৭ নম্বর নয়তলা বাড়ির ছাদ থেকে লাফ দেন মমতাজ বেগম। মুমূর্ষু অবস্থায় তার পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের স্বামী পত্রিকার হকার আনিসুর রহমান জানান, ‘ওই বাড়ির চতুর্থ তলায় তিনি স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন। তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। তাদের পরিবারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। মতিঝিল থানার এসআই সুমন কুমার জানান, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। নিহতের গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানা এলাকায়। পল্লবী থানাধীন ডি-ব্লকের ২৭ নম্বর রোডের ড্রেনের বস্তিতে পরিবারের সঙ্গে ভাড়া থাকতো ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ। দুপুর সাড়ে ১২টায় পরিবারের সদস্যরা তাকে অনেক ডাকাডাকি করে কোন সাড়া-শব্দ না পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। নিহতের চাচা জাকির হোসেন জানান, ‘মিরপুর উদয়ন স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র ছিল খলিলুল্লাহ। দুই ভাইয়ের মধ্যে সে বড় ছিল। তার আত্মহত্যার কারণ জানাতে পারেন নি তিনি। তার বাবার নাম ফজলুর রহমান। গ্রামের বাড়ি ভোলা সদর থানার চরচন্দন এলাকায়। এই তিনটি ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।