আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা থেকেঃ ঘনিয়ে আসছে নির্বাচন। ঘন হচ্ছে পোষ্টার। যতই দিন যাচ্ছে ততই পোষ্টারে পোষ্টারে ছেয়ে যাচ্ছে। চারিদিকে শুধু পোষ্টার আর পোষ্টার। পোষ্টারে ভরা পুরো এলাকা। এরকম একটি দৃশ্যই দেখা যাচ্ছে গাইবান্ধার কোমরপুর চৌমাথা ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচনী আয়োজনে। গাইবান্ধার পলাশবাড়ী-গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার প্রাণকেন্দ্র কোমরপুর চৌমাথা ব্যবসায়ী সমিতি (রেজিঃ নং রাজ-২৮৩০) দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন আগামী ২৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। স্থানীয় সচেতনদের ধারণা এ নির্বাচনে প্রতিযোগিতা মূলক নির্বাচনী প্রচারণায় প্রার্থীরা মড়িয়া হয়ে উঠেছে। ফলে অতীতের যে কোন নির্বাচনের তুলনায় এবার ভোটারের কদর বেড়েছে। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ব্যানার, ফেস্টুন, স্ট্রিকার ও পোস্টারে-পোস্টারে ছেয়ে গেছে গাইবান্ধার কোমরপুর চৌমাথা এলাকা। সর্বত্রই শুধু প্রার্থীদের পোস্টার আর পোস্টার। সমিতির বর্তমান ভোটার সংখ্যা ৩শ’ ৫৪ জন। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা ব্যবসায়ী সমিতি কোমরপুর চৌমাথা নির্বাচনে ৯ পদের বিপরীতে ২২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সমিতির সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রফিকুল ইসলাম (কাগজ), রফিকুল ইসলাম (রাখু) ও নজরুল ইসলাম। এই ৩জন সভাপতি প্রার্থীর মধ্যে ত্রিমুখী লড়াই হবে বলে গুঞ্জন চলছে। সহ-সভাপতি ২টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন মেজবাউল ইসলাম রুনু, সাজু মিয়া ও রেজাউল করিম রাজা। অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা হচ্ছেন, আসাদুজ্জামান ফরিদ (বি-কম), ডিপটি মন্ডল, সিদ্দিকুর রহমান, হাবিবুর রহমান ও সুমন মিয়া। এর মধ্যে আসাদুজ্জামান ফরিদ তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, তিনি সবার চেয়ে ভোটে এগিয়ে আছেন। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে ফিরোজ মিয়া ও এমদাদুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সিরাজুল ইসলাম, আবু জাফর ও রিপন মিয়া, অর্থ সম্পাদক পদে সোনা মিয়া ও সাগর মিয়া, প্রচার সম্পাদক পদে ফিরোজ মিয়া ও আশরাফুল ইসলাম, সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে পিপুল মিয়া ও আঃ মজিদ সরকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তন্মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ক্রীড়া সম্পাদক শামীম সরকার, দপ্তর সম্পাদক মতুর্জা ইসলাম মানিক ও ধর্মীয় সম্পাদক জিল্লুর রহমান। ফলে ৯ পদের বিপরীতে ২২ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কোমরপুর চৌমাথা সমিতির নির্বাচনে ভোটার ও প্রার্থীসহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের দৃষ্টি এখন নির্বাচনের শেষ ফলাফলের দিকে।