আপনার কিশোর সন্তান যদি পিৎজা, বার্গারের মতো জাঙ্ক ফুডের বাইরে আর কোনো খাবার খেতে না চায় তবে এর জন্য কিছুটা হলেও দায়ী করতে পারেন ফেসবুককে। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখেছেন যে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলো তরুণদের কাছে জাঙ্ক ফুডে বেশি আগ্রহী করে তুলছে। এই সাইটগুলোতে জাঙ্ক ফুড নিয়ে বেশি প্রচারণা চালানো হয়। এক খবরে জানিয়েছে আইএএনএস।
যেসব খাবারে উচ্চমাত্রায় চর্বি, লবণ, কার্বনেট ইত্যাদি ক্ষতিকারক দ্রব্য থাকে সেসব খাবারের নাম হয়েছে জাঙ্ক ফুড। আলুর চিপস, ক্যান্ডি, কোমল পানীয়, কৃত্রিম ফলের রস, এমনকি চকলেটও রয়েছে জাঙ্ক ফুডের তালিকায়। এসব খাবারে শাকসবজি বা খাদ্য-আঁশ থাকে না বা অতি অল্প পরিমাণে থাকতে পারে।
সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে কীভাবে কম পুষ্টিমানসম্পন্ন জাঙ্ক ফুড বিপণনের কৌশল হিসেবে বেছে নেওয়া হয় সে বিষয়টি বিশ্লেষণ করেছেন। এ ধরনের খাবারের প্রতি কাদের আগ্রহ বেশি থাকে সে বিষয়টিও বিশ্লেষণ করেন তাঁরা। গবেষণায় দেখা গেছে, কিশোর ও তরুণেরা জাঙ্ক ফুডের বিজ্ঞাপন দেখে সে খাবারে খাওয়ার জন্য বেশি উৎসাহ দেখান।
গবেষকেরা ২৭টি পরিচিত খাবার ও পানীয় ব্র্যান্ডের ফেসবুক পেজ নিয়ে গবেষণা করে দেখেছেন—কম পুষ্টিমানসম্পন্ন খাবার যেসব প্রতিষ্ঠান বিক্রি করে থাকে তারা ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে প্রচারণার মাধ্যমে তরুণদের আগ্রহ তৈরি করতে সচেষ্ট থাকে। এ ছাড়া যাঁদের সঙ্গে জাঙ্ক ফুড প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পর্ক থাকে তাঁদের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোর খাবারের প্রচার চালানো হয়।
মার্কিন সাময়িকী ‘পাবলিক হেলথ’-এ প্রকাশিত হয়েছে গবেষণা-সংক্রান্ত নিবন্ধ।
গবেষক বিকি ফ্রিম্যান এ প্রসঙ্গে জানান, তাঁদের খাবার নিয়ে যখন কোনো প্রতিযোগিতার আয়োজন করে তখন তাঁরা ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে বেশি সাড়া পায়।
ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট কাজে লাগিয়ে ফায়দা লোটে জাঙ্ক ফুডের ব্র্যান্ডগুলো।