1. ccadminrafi@gmail.com : Writer Admin : Writer Admin
  2. 123junayedahmed@gmail.com : জুনায়েদ আহমেদ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর : জুনায়েদ আহমেদ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর
  3. swadesh.tv24@gmail.com : Newsdesk ,স্বদেশ নিউজ২৪.কম : Newsdesk ,স্বদেশ নিউজ২৪.কম
  4. swadeshnews24@gmail.com : নিউজ ডেস্ক, স্বদেশ নিউজ২৪.কম, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর: : নিউজ ডেস্ক, স্বদেশ নিউজ২৪.কম, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর:
  5. hamim_ovi@gmail.com : Rj Rafi, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান : Rj Rafi, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান
  6. skhshadi@gmail.com : শেখ সাদি, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান: : শেখ সাদি, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান:
  7. srahmanbd@gmail.com : এডমিন, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান : এডমিন, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান
  8. sumaiyaislamtisha19@gmail.com : তিশা, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান : তিশা, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান
১৬ ডিসেম্বর, জেনারেল নিয়াজি ও ইমরান খান - Swadeshnews24.com
শিরোনাম
ভারতীয় পণ্য বর্জনের বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত বিএনপির প্রতিটা নিঃশ্বাস যেন খুঁজছে তোমায়: পূজা চেরি প্রযোজককে এসিড নিক্ষেপের হুমকি, চিত্রনায়িকা পলির বিরুদ্ধে জিডি ছেলেদের সৌন্দর্য কিসে, জানালেন জায়েদ নিপুণের আবেদনে পেছাল ভোটের তারিখ, অসন্তুষ্ট মিশা ফরজ গোসল না করে সেহরি খেলে কি রোজা হবে? ৫৬ সেকেন্ডের ভিডিও, কোন সম্পর্কের ইঙ্গিত দিলেন বুবলী-রাজ রোজা রাখলে পাবেন ৫ উপকার ‘রিয়াজ এখন নিপুণের চামচা হয়ে গেছে, এটা খুব কষ্টের’ মধ্যবর্তী নির্বাচন প্রশ্নে যা বললেন ওবায়দুল কাদের বেশি কথা বললে সব রেকর্ড ফাঁস করে দেব: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‘খালেদা জিয়া একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা’ রিজভীর ভারতীয় চাদর ছুড়ে ফেলা নিয়ে যা বললেন ওবায়দুল কাদের বুর্জ খলিফায় শাকিবের সিনেমার প্রচারে ব্যয় কত? বুবলী-পরীমনির দ্বন্দ্বের মাঝে অপু বিশ্বাসের রহস্যময় স্ট্যাটাস

১৬ ডিসেম্বর, জেনারেল নিয়াজি ও ইমরান খান

  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৪
  • ৩৭০ Time View

amir swadesh24১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশে সরকারি ছুটি পালিত হয়। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর যৌথ কমান্ডের কাছে আত্মসমর্পণ করে। বাংলাদেশ দিনটি প্রতিবছরই স্মরণ করে। সেখানে এটি বিজয় দিবস হিসেবে পরিচিত, আর ভারতে তা ‘ভিজয় দিওয়াস’ নামে পরিচিত। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কমান্ডিং অফিসার লে. জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজি তৎকালীন রমনা রেসকোর্স ময়দানে ভারতীয় কমান্ডার লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার কাছে তাঁর অস্ত্র জমা দেন। স্থানটি এখন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নামে পরিচিত।
১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের অনানুষ্ঠানিক শোক দিবস। আম–পাকিস্তানিরা মনে করে, ভারত শেখ মুজিবুর রহমানের সহায়তায় পাকিস্তান ভেঙেছে। কিন্তু অধিকাংশ পাকিস্তানি জানে না যে আওয়ামী লীগের শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৫ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সামরিক একনায়ক মোহাম্মদ আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে ফাতেমা জিন্নাহকে (মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর বোন) সমর্থন দিয়েছিলেন। খুব কম পাকিস্তানি তরুণই জানে যে ১৯৭০ সালে অনুষ্ঠিত পাকিস্তানের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে শেখ মুজিবের
দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল। কিন্তু সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খান তাঁর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে রাজি হননি। এই অবিচারের কারণে তিনি বিদ্রোহ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তার দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। তাঁকে গ্রেপ্তার করে পশ্চিম পাকিস্তানের মিয়ানওয়ালি কারাগারে রাখা হয়।
কেন শেখ মুজিবকে এই মিয়ানওয়ালি কারাগারে রাখা হয়? কেন লাহোর বা করাচির বড় কারাগারে তাঁকে রাখা হয়নি? লে. জেনারেল টিক্কা খানের নির্দেশে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীকালে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন লে. জেনারেল নিয়াজি। ১৯৭১ সালে ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কমান্ডিং কর্মকর্তা নিয়াজির বাড়ি সেই মিয়ানওয়ালি শহরে। শেখ মুজিবকে সেখানে রাখায় তিনি খুব খুশি হয়েছিলেন। অনেক পাকিস্তানি এখনো তাঁকে বলে ‘টাইগার নিয়াজি’। উর্দু দৈনিক দুনিয়ায় আমি এই ১৪ ডিসেম্বর একটি নিবন্ধে দেখলাম, নিয়াজিকে নায়ক হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে। কিন্তু লেখক এটা বলেননি যে ঢাকায় অসদাচরণ ও দুর্নীতির দায়ে নিয়াজির র্যাংক বাতিল করে পাকিস্তান সরকার তাঁকে বরখাস্ত করে। তাঁকে পেনশন ও সামরিক সম্মান থেকে বঞ্চিত করা হয়। কমিশনের তদন্তে এসব প্রমাণিত হয়।
তিন সদস্যবিশিষ্ট এই কমিশনের নেতৃত্বে ছিলেন বিচারপতি হামুদুর রহমান। এই কমিশন নিয়াজিসহ দুই শতাধিক সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে। কমিশন ১৯৭৪ সালে সরকারের কাছে চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেশ করে। কিন্তু বহু বছর তা কখনোই জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি। কয়েক বছর আগে নীরবে এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। কমিশন বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তার প্রকাশ্য বিচারের সুপারিশ করে। আর ১৫টি বিভিন্ন অভিযোগে জেনারেল নিয়াজির কোর্ট মার্শাল করার সুপারিশ করে। এসব অভিযোগের মধ্যে আছে চোরাচালান ও অনৈতিক কাজে অংশগ্রহণ। কোনো সরকারই এই বিচার শুরু করার সাহস পায়নি। পাকিস্তানের জনগণও দীর্ঘদিন এই আত্মসমর্পণের ব্যাপারে অন্ধকারে ছিল। পাকিস্তানি আমজনতার সরলতা গত ৩০ নভেম্বর এক লজ্জাজনক ঘটনায় মোড় নেয়। সেদিন পাকিস্তানের জনপ্রিয় বিরোধী নেতা ইমরান খান ঘোষণা করেন, ২০১৩ সালের নির্বাচনে জাল ভোটের অভিযোগে ১৬ ডিসেম্বর তিনি দেশ অচল করে দেবেন।
শুধু কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাই নন, অন্যান্য কয়েকজন বিরোধী নেতাও ইমরান খানের চাঁছাছোলা সমালোচনা করেছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট ও পিপিপি নেতা আসিফ আলী জারদারি ইমরানের নামকরণ করেছেন ‘ইমরান খান নিয়াজি’—১৬ ডিসেম্বরের ট্র্যাজেডি সম্পর্কে যিনি একেবারেই অজ্ঞ। ইমরান খান মিয়ানওয়ালির নিয়াজি গোত্রের মানুষ, ২০০২ সালে প্রথম যে নির্বাচনে তিনি জেতেন, সেটাও সেই মিয়ানওয়ালি থেকেই। তাঁদের মধ্যকার যোগাযোগ নেহাতই আকস্মিক। ইমরান ১৯৭১ সালের সামিরক অভিযানের সমালোচনা করেছেন। এমনকি তিনি এ-ও বলেছেন, বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত। কিন্তু তিনি ভুলে গেছেন, ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের জন্য সত্যিই লজ্জার দিন। কেন? হামুদুর রহমান কমিশনের প্রতিবেদনের ৫২০ পৃষ্ঠা থেকে উদ্ধৃতি দেব। এতে বলা হয়েছে, জেনারেল নিয়াজি ঢাকা রক্ষায় ব্যর্থ হয়ে লজ্জার ও অসময়োচিত আত্মসমর্পণে রাজি হন। যদিও তিনি নিজেই কমিশনের কাছে স্বীকার করেন, ভারতীয় বাহিনীর আক্রমণ শুরু করতে অন্তত সাত দিন এবং ঢাকার আত্মরক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করতে আরও এক সপ্তাহ লাগত। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘আত্মসমর্পণে রাজি হয়ে তিনি এক লজ্জাকর ও শোচনীয় মনোভাবের পরিচয় দেন। অথচ তিনি নিজেই ভারতীয় কমান্ডারের কাছে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পেশ করেছিলেন। সে সময় তাঁর প্রতিটি কাজেই এরূপ মনোভাব প্রতিফলিত হয়েছে: আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করা, যৌথ কমান্ডের কাছে অস্ত্র সমর্পণ করা, বিজয়ী জেনারেল অরোরাকে বরণ করতে ঢাকা বিমানবন্দরে হাজির হওয়া, তাঁকে গার্ড অব অনার দিতে নিজের এডিসিকে নির্দেশ দেওয়া, আর ভারতীয় প্রস্তাব মেনে জনসমক্ষে আত্মসমর্পণে রাজি হওয়া প্রভৃতি।’ এই শেষোক্ত ঘটনাটি পাকিস্তানের কপালে কলঙ্কের তিলক পরিয়ে দিয়েছে। প্রতিবেদনে ৭ ডিসেম্বরের একটি ঘটনার উল্লেখ আছে। সেদিন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর নিয়াজিকে ডেকে যুদ্ধের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান। সে সময় নিয়াজি হাউমাউ করে কান্না শুরু করেন, গভর্নর তখন তেমন কিছু বলেননি। টাইগার নিয়াজি শিয়ালে পরিণত হন।
প্রতিবেদনের ৫৩৪ নম্বর পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, ‘জেনারেল নিয়াজি যদি তা করতেন এবং সেই প্রক্রিয়ায় মৃত্যুবরণ করতেন, তাহলে তিনি ইতিহাস সৃষ্টি করতেন। পরবর্তী প্রজন্ম তাঁকে মহান নায়ক ও শহীদ হিসেবে স্মরণ করত। কিন্তু ঘটনাপ্রবাহে দেখা যায়, তিনি ৭ ডিসেম্বরের পর আর যুদ্ধ করার মতো অবস্থায় ছিলেন না।’ নিয়াজি ১৯৯৮ সালে ‘বিট্রেয়াল অব ইস্ট পাকিস্তান’ শিরোনামে একটি বই লেখেন। তিনি সেখানে বিচারপতি হামুদুর রহমানের সমালোচনা করেন, কারণ তিনি একজন বাঙালি। অথচ হামুদুর রহমান নিয়াজির কর্তৃত্বে কাজ করা সেনা কর্মকর্তাদের বক্তব্য ধারণ ও তা পুনরুৎপাদন করেছেন মাত্র। কৌতূহলের বিষয় হচ্ছে, এই সেনা কর্মকর্তাদের সবাই পাঞ্জাবি। মেজর জেনারেল (অব.) খাদিম হোসেন রাজা ১৯৭১ সালের সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা করেছেন। তিনি নিয়াজির বই থেকে কিছু উদ্ধৃতি দিয়েছেন, সেগুলো খুবই লজ্জার। একদিন নিয়াজি বাঙালি কর্মকর্তাদের সামনে উর্দুতে কটূক্তি করেন, ‘আমি বাঙালিদের রক্তের ধারাই বদলে দেব।’ ১৯৭১ সালের ১১ এপ্রিল নিয়াজি রাজাকে বলেন, ‘আপনি তো আমাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিলেন। তবে আপনার বাঙালি নারী বন্ধুদের ফোন নম্বরও আমার লাগবে।’ রাজা লিখেছেন, তিনি তীব্র বিরাগ নিয়ে নিয়াজির কার্যালয় ত্যাগ করেন।
ন্যায্য হয়, যদি এ কথা বলি যে সব সেনা কর্মকর্তাই নিয়াজির মতো ছিলেন না। লে. জেনারেল জ্যাকব ১৯৭১ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের চিফ অব স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি আত্মসমর্পণের দলিল প্রস্তুত করেছেন। তাঁর লেখা বই সারেন্ডার অ্যাট ঢাকায় তিনি বলেছেন, ‘পাকিস্তানি বাহিনী একটি আত্মরক্ষামূলক অবস্থান থেকে পূর্বাঞ্চলে যুদ্ধ করেছে। সেই বইয়ের একই পাতায় জ্যাকব বলেছেন, ‘মুক্তিবাহিনীকেও ন্যায্য কৃতিত্ব দিতে হবে।’ গেরিলাযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনী বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তাদের মনোবল ভেঙে যায়। ফলে এই বিজয়ে মুক্তিবাহিনীর অপরিসীম অবদান রয়েছে।’ জ্যাকব উন্মোচন করেছেন, নিয়াজি তাঁর মূল পিস্তল সমর্পণ করেননি। তিনি একটি সাধারণ পয়েন্ট ৩৮ রিভলবার জমা দেন। এর নলে ধুলাবালু ছিল। দৃশ্যত বহু দিন ধরেই তা পরিষ্কার করা হয়নি।
খুব কম পাকিস্তানিই স্বীকার করে, ১৬ ডিসেম্বর তাদের জন্য জাতিগত লজ্জার দিবস। কিন্তু তার পরও ইমরান খান তাঁর ১৬ ডিসেম্বরের কর্মসূচি বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন। হয়তো তিনি বুঝতে পেরেছেন, পাকিস্তানের আত্মসমর্পণের দিন তাঁর নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে জয়ের দিন হতে পারে না। ঢাকার আত্মসমর্পণ থেকে পাকিস্তানের সরকার ও জনগণকে অনেক কিছু শিখতে হবে। সংসদে হামুদুর রহমান কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা হওয়া দরকার। তাঁদের জানতে হবে, রাজনীতিতে সেনা হস্তক্ষেপ কেন দেশের জন্য খারাপ। হ্যাঁ, জেনারেল নিয়াজি হয়তো ভারতকে বোকা বানিয়ে তাঁর মূল পয়েন্ট ৩৮ রিভলবার জমা দেননি। কিন্তু ১৬ ডিসেম্বর তিনি জাতির মর্যাদা রক্ষা করতে পারেননি। কারণ, সেদিন তিনি ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছিলেন না, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ করছিলেন তিনি।

post by Usman gony

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020 SwadeshNews24
Site Customized By NewsTech.Com