দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মুক্তিযোদ্ধার সপক্ষে যাবতীয় তথ্য চেয়ে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে আবার নোটিশ পাঠিয়েছে। গতকাল সোমবার দুদক অভিযুক্ত ৯ কর্মকর্তার যাবতীয় নথিপত্র তলব করে এ চিঠি পাঠিয়েছে।
এ নোটিশে আগামী ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে নথিপত্র পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত ২৪ নভেম্বর দুদকের ডিজিসহ ৯ জনের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপন, নামের সনদ, মুক্তিবার্তায় প্রকাশিত নাম ও সংশ্লিষ্ট যাবতীয় নথিপত্র চেয়ে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর চিঠি দেওয়া হয়।
দ্বিতীয় দফায় ২৬ নভেম্বর তাদের স্মরণ করিয়ে ফের চিঠি দেওয়া হয়। এ ছাড়া গত ২৪ নভেম্বর ও ৫ ডিসেম্বর স্বশরীরে দুদকের অনুসন্ধানকারী টিম মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ হান্নান, অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম-সচিব ও সিনিয়র সচিবের কাছে গিয়ে তথ্য চাইলেও এতে তেমন সুফল আসেনি।
দুদক সূত্র জানিয়েছে, যাদের ব্যাপারে নথিপত্র চাওয়া হয়েছে তারা হলেন, দুদকের মহাপরিচালক (ডিজি) কামরুল হাসান মোল্লা, পরিচালক গোলাম ইয়াহিয়া, পরিচালক আবদুল আজিজ ভূঁইয়া, উপ-পরিচালক ঢালী আবদুস সামাদ, উপ-পরিচালক এস এম গোলাম মাওলা সিদ্দিকী ও সাবেক উপ-পরিচালক রঞ্জন কুমার মজুমদার, সহকারী পরিদর্শক আবদুস সোবহান, কোর্ট সহকারী (এএসআই) নুরুল ইসলাম ও ইসহাক ফকির।
দুদক সূত্র আরো জানায়, ওই ৯ জনের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়ে চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধিসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ভোগের অভিযোগ রয়েছে। এদের মধ্যে আইন বিভাগের মহাপরিচালক কামরুল হোসেন মোল্লা ও পরিচালক গোলাম ইয়াহিয়া অসত্য তথ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সনদ গ্রহণ করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে কিছু তথ্য জানতে পেরেছে অনুসন্ধান টিম।
দুদক সূত্রে জানা যায়, গত ২১ অক্টোবর কমিশনের মাসিক সভায় দুদকের ৯ কর্মকর্তা-কর্মচারীর মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াতির অভিযোগ উত্থাপিত হয়। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা যাচাই করে কমিশন এতে অনুমোদন করলে ২২ অক্টোবর দুই সদস্যের একটি অনুসন্ধানকারী টিম গঠন করে অনুসন্ধান শুরু করে। দুদকের উপ-পরিচালক জুলফিকার আলীর নেতৃত্বে টিমের অপর সদস্য হলেন সহকারী পরিচালক রফিকুল ইসলাম।
post by Usman gony