বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে সকাল পৌনে ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদক উপ-পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলী।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পদ্মাসেতুতে বিনিয়োগ শুধু আমার নয়, আমার বাবারও স্বপ্ন ছিলো। পদ্মাসেতু গোয়ালন্দ থেকে আরিচা, নগরবাড়ী-এখানে অ্যাঙ্গেল একটা ব্রিজ হবে। তিন বিলিয়ন ডলার লাগবে এতে। আমার অর্থ অবমুক্ত হলে এতে বিনিয়োগের পাশাপাশি, সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক ও বৃদ্ধদের জন্য পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে স্বপের বাংলাদেশ গড়বো।
সুইস ব্যাংকে মুসা বিন শমসেরের সাত বিলিয়ন ডলার রয়েছে এমন তথ্য দিয়ে চলতি বছর আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সাময়িকী ‘বিজনেস এশিয়া’ সংবাদ প্রকাশ করে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৫১ হাজার কোটি টাকা।
‘বিজনেস এশিয়া’র প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে মুসার সম্পদ যাছাই ও অর্থ পাচারের অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।
অবৈধ সম্পদ ও অর্থ পাচারের অভিযোগের বিষয় তিনি বলেন, প্রত্যেকটি গল্পের পেছনে একটি ইতিহাস থাকে। ধৈর্য ধরেন। সব জানতে পারবেন। আমার সম্পর্কে বলা হয়েছে, আমি ৫১ হাজার কোটি টাকা বিদেশি পাচার করেছি। এটা সর্ম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। দুদকের অনুসন্ধানে এটা বেরিয়ে আসবে।
তিনি বলেন, এ টাকা (৫১ হাজার কোটি টাকা) কেউ দেশে অর্জন করতে পারেনি। আগামী ৫০ বছরে এদেশে কেউ অর্জন করতে পারবেও না।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হলেও দুই ঘণ্টা আগেই তিনি দুদকে ব্যাপক প্রটোকল নিয়ে হাজির হন। প্রায় তিন ঘণ্টা দুদক তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, জিজ্ঞাসাবাদে মুসা বিন শমসের তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। বাংলাদেশ থেকে কোনো টাকা তিনি পাচার করেননি বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানান।
মুসার জন্ম ১৯৫০ সালের ১৫ অক্টোবর ফরিদপুরে। তিনি ড্যাটকো গ্রুপের মাধ্যমে জনশক্তি রপ্তানি করেন। তবে তার পরিচিতি তুলে ধরতে গিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো অস্ত্র ব্যবসার কথাই (আর্মস ডিলার) আগে এনেছে।
১৯৯৭ সালে যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে লেবার পার্টির প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী টনি ব্লেয়ারের নির্বাচনী প্রচারের জন্য ৫০ লাখ পাউন্ড অনুদান দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে আলোচনায় আসেন বাংলাদেশের এ ব্যবসায়ী।