চাঁদপুর সেচ প্রকল্প এলাকায় ফসলি জমি নষ্ট করে প্রতিনিয়ত গড়ে উঠছে বসতবাড়িসহ নানা স্থাপনা। অধিক খাদ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে গড়ে ওঠা এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্যই এখন ভেস্তে যেতে বসেছে। প্রশাসনের দাবি, ফসলি জমি রক্ষায় নীতিমালা থাকলেও প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় বন্ধ করা যাচ্ছেনা বসতবাড়ি নির্মাণ। কৃষি বিভাগ বলছে, ক্লাস্টার ভিত্তিক বহুতল ভবন নির্মাণ করা গেলে ফসলি জমি রক্ষা করা সম্ভব।
চাঁদপুরের সদর, ফরিদগঞ্জ ও হাইমচর এবং লক্ষ্মীপুরের সদর, রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলার অংশ বিশেষ নিয়ে গঠিত চাঁদপুর সেচ প্রকল্প। একশো কিলোমিটার বেড়িবাঁধের এই প্রকল্পে চরবাগাদী ও হাজীমারায় রয়েছে দু’টি স্লুইস গেট।
অধিক ফসল উৎপাদন আর বন্যার হাত থেকে বিস্তীর্ণ জনপদ রক্ষা করাই এ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। কিন্তু প্রকল্প শুরুর পর এ পর্যন্ত ফসলি জমিতে অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হয়েছে ২৭ হাজার ঘরবাড়ি।তবে মালিকদের দাবি,নিরুপায় হয়েই ঘরবাড়ি নির্মাণ করছেন তারা।
এদিকে,ফসলি জমি কমতে থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তাদের।
অন্যদিকে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদিন বলেন, ফসলি জমি রক্ষায় প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছেনা’।
এদিকে, ফসলি জমি নষ্ট না করে ক্লাস্টারভিত্তিক বহুতল ভবন নির্মাণে গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মনিরুল ইসলাম’।
প্রায় ৫৪ হাজার হেক্টর জমি নিয়ে ১৯৭৮ সালে চালু হয় চাঁদপুর সেচ প্রকল্প।