নিখোঁজের ২ মাস ৩ দিন পর রাজশাহীর পবা উপজেলার নহাটা পৌরমেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল গফুর সরদারের লাশ আজিমপুর কবর স্থান থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবর থেকে তার লাশ তোলা হয়। তাকে কবরস্থানে দাফন করা হয়েছিল মিথ্যা পরিচয় দিয়ে।
১ জানুয়ারি ঢাকায় যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন রাজশাহীর পবা উপজেলার নহাটা পৌরমেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল গফুর সরদার। নিহতের ছেলে আরও জানায়, ওই দিন রাত থেকেই, তার বাবার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। ঘটনার ১৬ দিন পর শেষবারের মতো মুঠো ফোনের খুদে বার্তায় যোগাযোগ করতে পারে সে।
মুঠোফোনের কথোপকথনের সূত্রে গ্রেফতার জান্নাতুল সালমা নামে এক নারীর দেয়ার তথ্যের ভিত্তিতে, নিখোঁজ গফুরের লাশ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে আজিমপুর কবরস্থান থেকে তোলা হয়।
ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেহানুল হক বলেন, ‘এর প্রকৃত কারণ বের করার জন্য ঢাকা মেডিকেলের ফরেনসিক বিভাগে প্রেরণ করা হবে। ‘
আওয়ামী লীগ নেতা গফুরের রাজনৈতিক কোনো প্রতিপক্ষ ছিলনা বলে দাবি করেছেন স্থানীয় সাংসদ আয়েন উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক কোনো ঝামেলা তার কারো সাথেই নেই, দীর্ঘদিন তিনি মেয়র ছিলেন এবং ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন ২৩ বছর। ‘
নিহতের ছেলে ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ‘সাধারণ একজন মহিলা আমার বাবাকে হত্যা করতে পারবে বলে আমার মনে হয়না, এর পেছনে যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করে শাস্তি প্রদানের জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।’
মিথ্যা পরিচয়ে আজিমপুরে দাফন করা হয় মেয়র গফুরকে। তবে কি কারণে হত্যা করা হয়েছে এ বিষয়ে এখনো কিছু বলতে পারেনি পুলিশ। এই বিষয়ে পবা থানার ওসি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘গ্রেফতার হওয়া নারীকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন তিনিসহ তার লোকজন মিলে হত্যা করেছে। ‘
ময়না তদন্ত শেষে গফুরের লাশ নহাটা গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছে তার পরিবার।