গাইবান্ধার বন্যা পরিস্থিরি অবনতি হয়েছে। সবগুলো নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে যমুনার অব্যাহত ভাঙনে গাইবান্ধার সাঘাটা, ফুলছড়ি, গাইবান্ধা, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার অন্তত ৪০টি পয়েন্টে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। একদিকে নদীতে পানি বৃদ্ধি অপরদিকে ভাঙন নদী পারের মানুষকে সর্বশান্ত করছে।
এদিকে সুন্দরগঞ্জে প্রবল বন্যার পানিতে অন্তত ৮০ টি গ্রামের বাড়িঘরে পানি উঠেছে। গত তিনদিন ধরে রাস্তাঘাটে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। খোলা হয়েছে ১৮ টি আশ্রয় কেন্দ্র। অপরদিকে গাইবান্ধার সাঘাটা মাত্র এক বছর আগে ১১ লাখ টাকা ব্যয়ে তৈরি স্কুল ভবনটি মাত্র দেড় লাখ টাকায় আজ (সোমবার) দুপুরে নিলামে বিক্রি করা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আউয়াল জানায়, তিস্তা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বিপৎসীমার ২৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সিংড়িয়ায় বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধ রক্ষায় ৫ কোটি টাকার জরুরি কাজ পানিতে চলে গেছে বলে লোকজন অভিযোগ করেছে। বন্যার পানির প্রবল চাপে ফুলছড়ির গণকবর কামারপাড়া, গোবিন্দি, গোবিন্দপুর এলাকায় শুরু হয়েছে প্রবল ভাঙন।
এ দিকে রোববার বিকেলে হঠাৎ করে ভাঙন শুরু হয় সাঘাটার গোবিন্দি ও কামারপাড়া এলাকায়। মাত্র এক ঘন্টায় দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ২ শতাধিক ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে ব্যানার টানিয়ে স্কুল নিলামে বিক্রির চেষ্টা করা হলেও কাস্টমার পাওয়া যায়নি। তবে আজ ভাঙনের কবলে পড়া স্কুল ভবনটি ১ লাখ ৩৮ হাজার টাকার নিলামে বিক্রি করা হয়। অপরদিকে নৌকা ও শ্রমিকের সংকটে অনেকেই তাদের ঘরবাড়ি সরিয়ে নেয়ার সুযোগ পায়নি। তবে অনেকেই ঘরবাড়ি ভাঙার সময় না পেলেও মালামালা সরিয়ে নিয়ে খোলা আকাশের নিচে ফেলে রেখেছে।
অপরদিকে পানির চাপে হুমকির মুখে পড়েছে বামনডাংগায় ঘাঘট নদীর বাধ, সুন্দরগঞ্জে তিস্তা বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধ, গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র ও সাঘাটায় সিংড়িয়া বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধ। যেকোন মুহূর্তে ভাঙনের আশঙ্কায় পনি উন্নয়ন বোর্ড এবং স্থানীয় প্রশাসন প্রহরা দিচ্ছেন ।