স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা দ্রুততার সাথে ইতালিয়ান নাগরিক সিজার টাবেলার হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে। ঢাকায় নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত মারিও পালমা বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। মন্ত্রী বলেন, “আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। অচিরেই হত্যাকারীরা গ্রেপ্তার হবে।” এসময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোজাম্মেল হক খান, ভারপ্রাপ্ত আইজিপি মোখলেসুর রহমান, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) আছাদুজ্জামান মিয়া উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী বলেন, “হত্যাকান্ডের পিছনের সকল প্রকার সম্ভাবনা অনুসন্ধান করছি, সকল সন্দেহকে আমলে নিয়ে তদন্ত পরিচালনা করা হচ্ছে, পুলিশ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য সম্ভাব্য সকল প্রকার উদ্যোগ গ্রহন করেছে।” মন্ত্রী বলেন, ইতিলিয়ান নাগরিকের হত্যাকান্ডের সাথে সন্ত্রাসী সংগঠন ইসলামী স্টেট (আইএস) এর কোন সম্পর্ক নেই। আর বাংলাদেশে আইএস এর কোন অস্তিত্ব নেই। তিনি বলেন, এ ঘটনার পর রাজধানীর কূটনৈতিক ও দূতাবাস এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম-কমিশনারের নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সারাদেশের পুলিশ সুপারদের ইতালিয়ান নাগরিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত আইজিপি বলেন, হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ সকল প্রকার অনুসন্ধানের পথ ও দরজা খোলা রেখেছে। হত্যাকান্ডের মোটিভ কি ছিলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হত্যাকান্ডটি কি অপরাধমূলক কারনে সংগঠিত হয়েছে, হত্যার পিছনে কি ব্যক্তিগত কোন কারন বা তার কর্মরত প্রতিষ্ঠানের সাথে কোন বিবাদ কাজ করেছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ভারপ্রাপ্ত আইজিপি বলেন, হত্যাকান্ডের সাথে বাইরের কোন প্রক্রিয়া কাজ করেছে কিনা তাও অনুসন্ধান করে দেখা হচ্ছে। গুলশান এলাকার ভিডিও ফুটেজ পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে। ফুটেজ অনুযায়ী হত্যাকান্ডের সাথে তিন বা চারজন জড়িত ছিলো বলে মনে করা হচ্ছে। খবর-বাসস।