টাঙ্গাইল-৪ আসনের উপ-নির্বাচনে কাদের সিদ্দিকী ও তার স্ত্রীর মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে করা আপিল খারিজ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে, আপিলের রায়েও তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হল। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যেতে পারবেন কাদের সিদ্দিকী ও তার স্ত্রী। রোববার রাজধানীর নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে কাদের সিদ্দিকী ও নাসরিন সিদ্দিকীর আপিলের শুনানি হয়। শুনানি শেষে এ রায় ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এর আগে, শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে কাদের সিদ্দিকী ও নাসরিন সিদ্দিকীর পক্ষে মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করেন ইকবাল সিদ্দিকী। আপিলের সঙ্গে অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে দেওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি কারণ দর্শানোর নোটিশও সংযুক্ত করা হয়েছে। ওই নোটিশে কেন কাদের সিদ্দিকীর নাম ঋণখেলাপিদের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হল, তা জানতে চাওয়া হয়। উলেখ্য, মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় সংসদের টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের উপ-নির্বাচনে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীসহ ৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করে জেলা রির্টানিং অফিসার মো: আলীমুজ্জামান। রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, সোনার বাংলা প্রকৌশলী সংস্থার নামে অগ্রণী ব্যাংকে ১০ কোটি ৮৮ লাখ ২৬ হাজার ৪১০ টাকা ঋণ থাকায় মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে ঋণ খেলাপীর কারনে বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী ও তার স্ত্রী নাসরিন কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। অপরদিকে জাতীয় পার্টি (জাপা) প্রার্থী সৈয়দ মোস্তাক হোসেন রতনের জমা দেয়া কাগজপত্রে দলীয় মনোনয়নের বৈধ কাগজ না থাকায় এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল আলিমের জমা দেয়া ১ শতাংশ ভোটারের তথ্যে গড়মিল থাকায় তাদের দু’জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।