খুলনা বিভাগের বিপক্ষে জাতীয় লিগের পঞ্চম রাউন্ডে দারুণ সূচনা করেছে ঢাকা মেট্রো। শামসুর রহমান এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটে ৩৪০ রান নিয়ে প্রথম দিন শেষ করে মেট্রো। অন্যদিকে বগুড়ায় ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে তারিক আহমেদের সেঞ্চুরিতে তিন উইকেটের বিনিময়ে ২৬৩ রান সংগ্রহ করেছে রংপুর। নাঈম ইসলাম এবং অধিনায়ক আছেন সেঞ্চুরির অপেক্ষায়।
শনিবার ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নামা ঢাকা মেট্রো উদ্বোধনী জুটিতে ৮৮ রান তোলে। এর মূল অবদানটা ছিল শামসুরের। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১৮ রান করেন আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মেহেদী মারুফ।
দলীয় স্কোরে আর কোনো রান যোগ না হতেই ফেরেন তিন নম্বরে নামা মেহরাব হোসেন জুনিয়র। পরপর দুই উইকেট হারানোর ধাক্কা তৃতীয় উইকেট জুটিতে সামলে ওঠে ঢাকা মেট্রো। শামসুরের সঙ্গে ১২৪ রানের জুটি গড়েন মাহমুদউল্লাহ।
রবিউল ইসলাম রবির বলে ইমরুল কায়েসকে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ১৪৪ রান করেন শামসুর। ১৬৭ বলের ইনিংসে ১৮টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন তৃতীয় রাউন্ডে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষেও শতক হাঁকানো এই ডান-হাতি ব্যাটসম্যান।
আর কোনো বড় জুটি না হলেও ১২৯ রান করে অপরাজিত আছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। ২১৯ বলের ইনিংসে এ পর্যন্ত ১৪টি চার মেরেছেন জাতীয় দলের অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান শরিফউল্লাহ খেলছেন ১৬ রান নিয়ে। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন খুলনার মেহেদী হাসান মিরাজ ও আব্দুর রাজ্জাক।
এদিকে, বগুড়ায় টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া ঢাকা পর পর দুই বলে রংপুরের দুই ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দিয়ে শুরুটা করে দুর্দান্ত। মোহাম্মদ শরীফের করা তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন নবীন ইসলাম ও আরিফুল হক। দুজনেই শূন্য রানে আউট হন।
দুই রানে দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া রংপুরকে কক্ষপথে ফেরান তারিক। নাঈম ইসলামের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ১৬১ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান।
ওপেনার তারিক আহমেদের শতকে তিন উইকেট হারিয়ে দলটি তুলেছে ২৬৩ রান। ১৮৩ বলে তারিক ৯টি চার আর ৩টি ছক্কায় করেন ১০২ রান। দলীয় ১৬৩ রানের মাথায় তারিক দলের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হয়ে বিদায় নিলে স্কোরবোর্ডে আরও ১০০ রান যোগ করে অবিচ্ছিন্ন রয়েছেন রংপুরের দলপতি নাসির হোসেন এবং নাঈম ইসলাম।
শতক থেকে মাত্র দশ রানে দূরে রয়েছেন নাঈম ইসলাম। আর ৬১ রান করে অপরাজিত নাসির হোসেন। ৪০ রানে দুই উইকেট নিয়ে ঢাকার সফলতম বোলার শরীফ।