টেস্ট এবং ওয়ানডে থেকে আগেই অবসর নিয়েছেন শহিদ আফ্রিদি। এখন পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তবে গত বছর ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের পর বলেছিলেন, ‘আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেবো’। এ হিসেবে এপ্রিলে ভারতে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর সংক্ষিপ্ত এ ফরমেটের ক্রিকেটও ছাড়ার কথা তার। কিন্তু সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিলেন পাকিস্তানের এ অলরাউন্ডার।
পরিবারের সদস্য ও তার কাছের বন্ধুদের চাপে তিনি সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতেও পারেন বলে জানালেন। তবে বিষয়টি স্পষ্ট করবেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর। এশিয়া কাপের আগে ক্রীড়া ওয়েবসাইট ‘ক্রিকইনফো’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আফ্রিদি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি অবসরের কথা বলেছিলাম। কিন্তু পরিবার ও বন্ধুদের কাছ থেকে অনেক চাপ পাচ্ছি। তারা কেউ আমার অবসরের পক্ষে নন। আমাকে আরও কয়েক বছর টি-টোয়েন্টি খেলে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে তারা। আমার জায়গা দখল করার মতো প্রতিভাবান কোনো ক্রিকেটারও পাকিস্তান পাচ্ছে না। এতে তারা কোনোমতেই আমাকে অবসরের অনুমতি দিচ্ছে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘তবে সবার আগে আমার নজর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। দেখি- পাকিস্তান সেখানে কী করতে পারে। নিজেকেও সেখানে পরীক্ষা করতে চাই। বিশ্বকাপে দল ও আমি নিজেকে ভাল অবস্থানে পেলে অবসরের ব্যাপারে কোনো একটি সিদ্ধান্তে আসা যাবে।’
২০০৯ এ ইংল্যান্ডে পাকিস্তানের টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ের মূল নায়ক ছিলেন শহিদ আফ্রিদি। সেমিফাইনাল ও ফাইনালে হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। আফ্রিদি আগের ৫টি টি-২০ বিশ্বকাপেই খেলেছেন। সবচেয়ে বেশি ৯০টি আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচ খেলে সবচেয়ে বেশি ৯১টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। টি-২০তে ২০০-এর বেশি উইকেট পাওয়া বোলারদের মধ্যে ইকনমি রেটে তিনি তৃতীয় স্থানে (৬.৬৬)। তার চেয়ে ভাল অবস্থানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সুনিল নারাইন ও পাকিস্তানের সাঈদ আজমল। টি-২০ ফরমেটে আফ্রিদির ব্যাটিং স্টাইক রেট ১৫৪.৬১। তার উপরে কেবল ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে রাসেল (যারা অন্তত ২০০০ রান করেছেন তাদের মধ্যে)।