আশরাফুল আলম ভৈরব-কুলিয়ারচর প্রতিনিধি ॥
ভৈরব পৌর ও উপজেলা আওয়ামীলীগের পুর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেন পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ইফতেখার হোসেন বেনু ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল মনসুর।
আজ সোমবার বেলা ১১টায় শহরের পুলতাকান্দায় উক্ত সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল মনসুর তাদের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। লিখিত বক্তব্যে বলেন, বিতর্কিত লোকজনকে বর্তমান কমিটিতে বিভিন্ন পদ দিয়ে আওয়ামীলীগের এই কমিটিকে কলংকিত করা হয়েছে। যাদের পদ দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে ডা: মিজানুর রহমান কবির, ডা: হাবিবুর রহমান হাবিব, মোহাম্মদ আলী সোহাগ, কাউন্সিলর হাজী মোমেন মিয়া, রফিকুল ইসলাম মোল্লা, প্রফেসর ফজলুল হক ও ফরহাদ সহ আরো অনেকেই বিএনপি ও জামাতের রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট ছিল। আওয়ামীলীগের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে পৌর ও উপজেলা আওয়ামীলীগের পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করায় সংবাদ সম্মেলনে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।
তিনি বলেন এমপি পদে মনোনয়ন চাওয়ায় কি তাদের দোষ ছিল। আওয়ামীলীগের মন্ত্রীর সাথেও তো কয়েকজন করে প্রার্থী আওয়ামমীলীগ থেকে মনোনয়ন চাচ্ছে। তাদেও তো আওয়ামীলীগের কমিটি থেকে বাদ দেয়া হয়নি। আমাদেরকে কেন বাদ দেয়া হলো। আমরা আওয়ামীলীগে আছি আওয়ামীলীগে থাকবো। তবে আগামী নির্বাচনে ওই কমিটির সাথে মিলে কোন কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি। তিনি আরো বলেন দলমত নির্বিশেষে জেলা দাবি করে আসছি এখনো করি। ভৈরব জেলা না হলে আগামী নির্বাচনে কোন মুখ নিয়ে ভোটারদের কাছে যাব আমরা। আমাদের এমপি সাহেব ৩৬৫ দিনের মধ্যে একদিনও সময় হয়না ভৈরবে রাত্রিযাপন করার। তিনি মহাব্যস্ত মানুষ। জনগনের জন্য তার সময় নেই। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো: জিল্লুর রহমান জানত মাঠেঘাটের নেতাকর্মী করা ছিল। তাকে শুধুমাত্র ভৈরবের তিন জন্য ব্যক্তি সাতপাঁচ বুঝিয়ে ভৈরবের আওয়ামীলীগে ভাঙ্গনসৃষ্টি করে রেখেছে। আর ওই তিনজন ব্যক্তি হলো প্রয়াত মহামাণ্য রাষ্ট্রপতি মো: জিল্লুর রহমানের একান্ত সহকারি সচিব লুৎফর রহমান ফুলু, একান্ত সহকারি সচিব-৩, শাখাওয়াত হোসেন মোল্লা ও আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মো: সায়দুল্লাহ মিয়া। তাদেও কথায় আজ আওয়ামীলীগের এ অবস্থা। তারা তোষামদি করেছে তাদেরকেই কমিটিতে রাখা হয়েছে। যদিও অনেকেই বিএনপি ও জামাতের রাজনীতিতে জরিত ছিলেন। তিনি এসময় আরো বলেন, প্রয়াত মহামাণ্য রাষ্ট্রপতি মো: জিল্লুর রহমানের একান্ত সহকারি সচিব লুৎফর রহমান ফুলু শান্তি কমিটির লোক ছিলেন, তার বাড়িতে অনেকেই রাজাকার ছিলেন সেটা মুরব্বী সবাই অবগত রয়েছেন। অপারেশন ক্লিনহার্ট ও ফখরুদ্দিনের আমলে আজকের আওয়ামীলীগ সভাপতি কোথায় ছিল। আওয়ামীলীগের র্দুদিনে দেশ ছাড়া ছিল অনেকে। আমি আবুল মনসুর তো কোথাও ভাগিনি। কারণ আমি দুর্নীতি করিনি। মানুষকে নির্যাতন করিনি। বুকে সৎ সাহস ছিল। দলের জন্য ভালোবাসা ছিল। কিন্তু ক্ষমতায় দেখুন এখন কারা, দুর্দিনের নেতাকর্মীরা এখনো ক্ষমতার বাহিরে। তিনি বলেন আগামী নির্বাচনে যেই দল থেকে মনোনয়ন পাবে তার জন্যই মাঠে কাজ করবেন ।