সম্প্রতি মুক্তি পেল সালমান খান এবং ক্যাটরিনা কাইফের ছবি ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’। তবে এ ছবির প্রচারণায় সালমান ‘ভাঙ্গি’ নামের একটি শব্দ উচ্চারন। আর এতে ক্যাটরিনা কোন প্রতিবাদ না করে হেসে ফেলেন। আর তার এই হাসিই তার বিপদ ডেকে এনেছে।

‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’ সিনেমার প্রচারের সময় বর্ণ বৈষম্যমূলক মন্তব্য করে একটি বিশেষ শ্রেণির মানুষের অনুভূতিতে আঘাতের দায়ে সালমানের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। এ ছাড়া ভারতের তথ্য ও প্রচার মন্ত্রণালয় এবং দিল্লি ও মুম্বাই পুলিশ কমিশনারের কাছে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানায় ন্যাশনাল কমিশন ফর শিডিউলড কাস্টস (এনসিএসসি)।

একই অভিযোগ ওঠে অভিনেত্রী শিল্পা শেঠির বিরুদ্ধেও। এ বিষয়ে গত মাসে সালমান খান ও শিল্পা শেঠির বিরুদ্ধেও সমন জারি হয়। ভারতের রাজস্থানের চুরু জেলার ডেপুটি এসপি হুকুম সিং এ সমন জারি করেন।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে পদক্ষেপ দিল্লি আদালতে আরো একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এতে সালমান খান, ক্যাটরিনা কাইফ ও আরো যারা সংশ্লিষ্ট রয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের আবেদন করা হয়েছে। অভিযুক্তের তালিকায় সালমান আগেও ছিলেন। তবে এতে নতুন করে যুক্ত হয়েছে ক্যাটরিনার নাম।

অভিনেতা সালমান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, টাইগার জিন্দা হ্যায় সিনেমার প্রচারণায় এক টিভি অনুষ্ঠানে ‘ভাঙ্গি’ (নিচু সম্প্রদায়) শব্দটি ব্যবহার করেন এ অভিনেতা। নিজের নাচের দক্ষতা বোঝাতে গিয়ে শব্দটি ব্যবহার করেন তিনি। এ সময় সালমানের কথা শুনে হেসেছিলেন ক্যাটরিনা।

ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লি কমিশন ফর কর্মচারী’র সাবেক চেয়ারম্যান হরনাম সিংয়ের অভিযোগ, অনুষ্ঠানে প্রধান অভিযুক্ত যখন আক্রমণাত্মক ও স্পর্শকাতর মন্তব্য করছিলেন তখন এর প্রতিবাদ না করে, হেসে এর সমর্থন করেছেন ক্যাটরিনা।

অন্যদিকে এক সাক্ষাৎকারে ‘ভাঙ্গি’ শব্দটি ব্যবহার করেন শিল্পা। বাড়িতে তাকে কেমন দেখায় তার উত্তরে তিনি বলেছিলেন, আমাকে ভাঙ্গির মতো দেখায়।

তবে এ বিষয়ে পরবর্তীতে ক্ষমা চান শিল্পা শেঠি। টুইটারে ক্ষমা চেয়ে তিনি লেখেন, অতীতের একটি সাক্ষাৎকারে আমার কিছু শব্দ ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। কারো অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য এগুলো বলা হয়নি। যদি কেউ আঘাত পান তা হলে আমি ক্ষমা চাইছি। আমি গর্বিত যে, এমন একটি দেশে বসবাস করি যেখানে বিভিন্ন জাতি ও সম্প্রদায় রয়েছে এবং আমি প্রত্যেককে শ্রদ্ধা করি।’