আমি সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারছি, এটাই আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। আমার চোখের সামনে আমি তিনজনকে আগুনে পুড়তে দেখেছি। আমার বেঁচে ফেরাটা সত্যিই একটা গিফট। বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার পর সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার পর সাংবাদিকদের এভাবে মন্তব্য করেন শেহরিন আহমেদ। ২৪ দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে রোববার দুপুরে বাড়ি ফেরার সময় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় সঙ্গে ছিলেন তার মা ফেরদৌসী মোশতাক।
শেহরিন বলেন, আমরা যারা বেঁচে ফিরেছি, আমাদের সবার জন্য আপনারা দেশবাসী দোয়া করবেন। যেন স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারি। আমি নেপালের হাসপাতালে দুই দিন একা ছিলাম। এরপর আমার ভাইয়েরা আমার কাছে পৌঁছায়। তখন আমার মানসিক অবস্থা ভালো ছিল না। অনেক গণমাধ্যমকর্মীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছি। সবার কাছে ক্ষমা চাই। ঢাকা মেডিকেলের ডাক্তারদের কাছে কৃতজ্ঞ। তারা সবাই আমার জন্য অনেক করেছেন।ঢামেকের বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, শেহরিনের শরীরের দগ্ধ স্থানে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে লাগানো চামড়াও শুকিয়ে গেছে। এখন তিনি সুস্থ রয়েছেন।
তবে চলে যাওয়ার পর আমরা তার খোঁজ খবর রাখবো।গেলো ১২ মার্চ ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস-২১১ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ৬৭ যাত্রী ও চার ক্রুসহ দুপুরে বিমানটি বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫০ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে। বাকিদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।আহতদের মধ্যে শাহিন ব্যাপারী নামে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। সিঙ্গাপুরে নেয়া হয় কবির হোসেন নামে একজনকে। ঢামেকে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন মেহেদী হাসান, কামরুন্নাহার স্বর্ণা ও শেখ রাশেদ রুবায়েত।