আগে ৫ লাখ, ১০ লাখ এমনকি ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নাটক নির্মাণ হতো। এখন সেই নাটক চলে এসেছে লাখ টাকায়। জেনুইন আর্টিস্টদের বাদ দিয়ে কাজ করতে হচ্ছে বাজেটের কারণে। বাড়ির চাকর বাকর বাদ। বাবা থাকলে মা থাকে না। এভাবে তো আর নাটক হয় না। একটা দুইটা নাটক দু-তিন জন নিয়ে হতে পারে। এক্সপেরিমেন্টাল নাটক তো হয়ই।
এভাবেই বর্তমান সময়ের নাটকের হালচাল নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন দেশবরেণ্য অভিনেতা আবুল হায়াত। এই অভিনেতা মাস কয়েক আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এখন শারীরিক অবস্থা কেমন? আবুল হায়াত বলেন, গত ৩১ মার্চ করোনা পজিটিভ রিপোর্ট পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলাম। সে সময় দ্রুত প্লাজমা দেওয়া হয়। এরপর বাসায় ফিরে যাই। ১৮ই এপ্রিল করোনা টেস্টের ফল হাতে পেলে জানতে পারি ফল নেগেটিভ। এখন আগের থেকে শরীরের অবস্থা ভালো। কাজেও তো ফিরেছেন অনেকদিন পর। কেমন লাগছে? আবুল হয়াত বলেন, হ্যাঁ। খুবই ভালো লাগছে। কারণ কাজটাকে আমি ভালোবাসি। অপেক্ষা করছিলাম। শরীরটা আগের থেকে ভালো হওয়ায় কাজ শুরু করলাম। একটা নাটকে কাজ করলাম। নাম ‘বাবা তোমাকে ভালোবাসি’। শুনলাম একটা সিনেমার শুটিং করছেন এই মূহুর্তে? আবুল হায়াত বলেন, হ্যাঁ। এখন শুটিং স্পটেই আছি। শর্ট চলছে। সিনেমাটির নাম ‘দায়মুক্তি’। সরকারী অনুদানে রাইসা ফিল্মের ব্যানারে নির্মিত হচ্ছে ছবিটি। গল্প খুবই আবেগী। এমন গল্পে অভিনয় করে ভালো লাগছে। দর্শকদেরও ভালো লাগবে। গত ২৬শে ডিসেম্বর আবুল হায়াত অভিনীত সর্বশেষ ‘স্ফুলিঙ্গ’ চলচ্চিত্র মুক্তি পায়। সিনেমাটি পরিচালনা করেন তার জামাতা, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা তৌকীর আহমেদ। এখন তো নিয়মিতই কাজ করবেন? আবুল হায়াত বলেন, ইচ্ছে আছে৷ কাজে যখন ফিরেছি নিয়মিতই করতে চাই। বাকিটা পরিবেশ-পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে।