করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ঢাকার পার্শ্ববর্তী ৭ জেলায় সার্বিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জরুরি সেবা ছাড়া সব অফিস-আদালতে ছুটি এবং যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এতে করে ঢাকার চারপাশ ঘিরে থাকা ওই ৭ জেলা থেকে জরুরি সেবা ছাড়া কোনো পরিবহন ঢাকায় প্রবেশ করতে পারবে না। এসব জেলার উপর দিয়ে কোনো দূরপাল্লার বাস ও নৌযান চলতে পারবে না। ফলে কার্যত সারা দেশের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে ঢাকা। সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানান, করোনা বেড়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে আগামী ৩০শে জুন মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকার সঙ্গে মানিকগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, গাজীপুর, রাজবাড়ী, নারায়ণগঞ্জ, মাদারীপুর ও মুন্সীগঞ্জের যোগাযোগ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া কোনো এলাকায় জেলা প্রশাসন মনে করলে সেখানে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবেন। তবে ঢাকায় যান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আসছে কিনা তা জানাননি মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ৭ জেলায় আমরা লকডাউনে নিয়ে নিয়েছি। এসব জেলার মানুষ ঢাকায় ঢুকতে পারবেন না। ঢাকার সঙ্গে মুভমেন্ট বন্ধ হলে এমনিতেই সারা দেশে কমে যাবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস জনিত রোগ কোভিড-১৯ সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাজপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী এবং গোপালগঞ্জ জেলাগুলোর সার্বিক কার্যাবলী/চলাচল জনসাধারণের চলাচলসহ) আগামী ২২ জুন সকাল ৬টা থেকে ৩০শে জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হলো। এ সময়ে শুধু আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা (যেমন- কৃষি উপকরণ সার, বীজ, কীটনাশক, কষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা দেয়া, বিদ্যুৎ, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরগুলোর (নদীবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেট্রনিক্্স মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিগুলো, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এবং পণ্যবাহী ট্রাক/লরি এ নিষেধাজ্ঞার আওতা বর্হিভূত থাকবে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সব সিনিয়র সচিব এবং সচিবদের নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যেকোনো জেলা প্রশাসন মনে করলে সেখানে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবেন। আমরা একেক দিন একেক বিভাগের সঙ্গে বসবো। ঢাকার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আছে কিনা- এক প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ঢাকা আমরা বন্ধ করিনি। ঢাকার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সন্ধ্যায় আমরা আবার বসবো। ভিডিও কনফাররেন্স করবো। দেখা যাক, আগে বসি, তারপর কি হয়। এখানে স্বাস্থ্য রিলেটেড সবাই থাকবেন। তিনি জানান, বর্তমানে সাতক্ষীরা, বাগেরহাটের মোংলা, যশোর পৌরসভা, অভয়নগর, শার্শা, ঝিকরগাছা, কুষ্টিয়া সদর, চুয়াডাঙ্গার দামুরহুদা, মেহেরপুরের পৌরসভার কয়েকটি ওয়ার্ড, মাগুরা পৌরসভা লকডাউন আছে। এছাড়া রাজশাহী সিটি করপোরেশন, নাটোর পৌরসভা ও সিংড়া, বগুড়া পৌরসভা, জয়পুরহাট পৌরসভা, কালাই ও পাঁচিবিবি লকডাউনের বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে। আজ থেকে লকডাউনে যাচ্ছে খুলনা।
এদিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনের আলোকে ঢাকার পার্শ্ববর্তী ৭ জেলায় যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। সোমবার সংস্থার পরিচালক (নৌনিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগ) মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অভ্যন্তরীণ নৌপথে চলাচলকারী যাত্রীবাহী নৌযানের মালিক/মাস্টার/ড্রাইভারসহ অন্যান্য স্টাফ, যাত্রী সাধারণ ও সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সার্বিক কার্যাবলী/ চলাচলের বিধিনিষেধ আরোপ করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। ওই প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ জেলায় সার্বিক কার্যাবলী (জনসাধারণের চলাচলসহ) আজ সকাল ৬টা থেকে আগামী ৩০শে জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী উল্লেখিত জেলাগুলোতে নৌপথে অর্থাৎ ঢাকা-মাদারীপুর, ঢাকা-মিরকাদিম/ মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ/চাঁদপুর/নড়িয়া, শিমুলিয়া (মুন্সীগঞ্জ)- বাংলাবাজার (মাদারীপুর)/মাঝিকান্দি (শরীয়তপুর), আরিচা (মানিকগঞ্জ) কাজিরহাট, পাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ)-দৌলতদিয়া (রাজবাড়ী) নৌপথগুলোতে উল্লেখিত জেলার সংশ্লিষ্ট নৌপথে সবধরনের যাত্রীবাহী নৌযানের (লঞ্চ/স্পিডবোট/ট্রলার/অন্যান্য) আজ ২২শে জুন সকাল ৬টা থেকে আগামী ৩০শে জুন মধ্যরাত পর্যন্ত চলাচল বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দেয়া হলো। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ নির্দেশনার আলোকে উল্লেখিত জেলাগুলোর লঞ্চঘাটে দেশের যেকোনো স্থান থেকে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী ঘাট দিতে পারবে না। তবে, পণ্য পরিবহন এবং জরুরি সেবা দেয়া নৌযানের ক্ষেত্রে এ আদেশ কার্যকর হবে না। এদিকে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছেন, ঢাকা থেকে আন্তঃনগর ট্রেন চালু থাকলেও যেসব এলাকায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে সেসব এলাকায় ট্রেন থামবে না।
আজ থেকে সমগ্র খুলনায় কঠোর লকডাউন: খুলনা থেকে আমাদের স্টাফ রিপোর্টার জানান, সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গে খুলনার পৃথক তিনটি হাসপাতালে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ৯ জন করোনা পজেটিভ ও একজন করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। খুলনা করোনা হাসপাতালের ফোকাল পারসন ও খুমেক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে ৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে এবং একজন উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। এ ছাড়া ১৩০ শয্যার করোনা হাসপাতালে সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৬১ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। যার মধ্যে রেড জোনে ১০২ জন, ইয়লো জোনে ২০ জন, এইচডিইউতে ১৯ জন এবং আইসিইউতে ২০ জন চিকিৎসাধীন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৩২ জন। খুলনা জেনারেল হাসপাতাল করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত এখানে ১৫ জন ভর্তি হন। এর মধ্যে ডুমুরিয়ার মাগুরাঘোনার একজন মারা গেছেন।
খুলনা সিভিল সার্জন অফিসের মুখপাত্র ডা. সাদিয়া মনোয়ার ঊষা জানান, সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনায় ৬১৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৭৫ জন পজেটিভ হয়েছেন। খুলনার বেসরকারি গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, সেখানে ৭৪ জন পজেটিভ রোগী ভর্তি আছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৪ জন পজেটিভ রোগী মারা গেছেন। হাসপাতালে ২৮টি নমুনা পরীক্ষায় ১৯ জন পজেটিভ শনাক্ত হয়েছেন। অপরদিকে জেলা করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খুলনা জেলা ও মহানগরে আজ ২২শে জুন থেকে ২৮শে জুন পর্যন্ত বিধি-নিষেধ আরোপ এবং লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধির কারণে এই সময়ে সকল ধরনের দোকানপাট, মার্কেট, শপিংমল ও কোচিং সেন্টারসমূহ বন্ধ থাকবে। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও কাঁচাবাজারের দোকান প্রতিদিন সকাল সাতটা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত খোলা থাকবে। উক্ত সময়ের মধ্যে হোটেল-রেস্তরাঁগুলো পার্সেল আকারে খাবার সরবরাহ করতে পারবে। ওষুধের দোকান সার্বক্ষণিক খোলা রাখা যাবে। সবধরনের পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ থাকবে। জেলার অভ্যন্তরে সকল ধরনের সাপ্তাহিক হাট/গরুর হাট বন্ধ থাকবে। জেলার অভ্যন্তরে অথবা আন্তঃজেলা গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকবে। খুলনা রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের আগমন ও বহিরাগমন বন্ধ থাকবে। ইজিবাইক, থ্রি-হুইলারসহ যান্ত্রিক যানবাহন বন্ধ থাকবে। অতি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। বাইরে অবস্থানকালে সকলকে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে। তবে সরকারি- বেসরকারি অফিসের জরুরি কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অফিস চলাকালীন তাদের নিজ নিজ অফিসের পরিচয়পত্র নিয়ে বাইরে চলাচল করতে পারবে। খুলনার জেলা প্রশাসক এবং করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ হেলাল হোসেন এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান। এ শর্তাবলী খুলনা জেলা ও মহানগরের সংশ্লিষ্ট সবাইকে কঠোরভাবে মেনে চলার জন্য বলা হলো। অন্যথায় দণ্ডবিধি ১৮৬০ ও সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রণও নির্মূল) আইন ২০১৮ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রাজশাহীতে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে: রাজশাহী থেকে আমাদের স্টাফ রিপোর্টার জানান, রাজশাহী বিভাগে করোনার সংক্রমণের লাগাম টানা কঠিন হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন সংক্রমণ বাড়ছে। বাড়ছে মৃত্যুর হার। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে করোনায় শনাক্ত হয়েছেন ৭৯৯ জন। এদিনে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ১৩ জন রোগী। এর মধ্য দিয়ে বিভাগে সংক্রমণ দাঁড়ালো ৪৭ হাজার ৭৫৯ জনে। আর মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৮৮৪ জনে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, মৃত ১৩ জনের মধ্যে ৬ জনেরই বাড়ি চাঁপাই নবাবগঞ্জে। এ ছাড়াও ৩ জন করে রাজশাহী এবং নাটোরের বাসিন্দা। বাকি ১ জন নওগাঁর বাসিন্দা। করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন তারা। ৩০৯ শয্যার রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত রোগী ভর্তি ছিলেন ৪০২ জন। এরমধ্যে আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন ১৯ জন রোগী। করোনা নিয়ে এ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৮০ জন। এ ছাড়াও উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ১৬৪ জন। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬২ জন। এই একদিনে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৩৪ জন।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা যাওয়া এ ১৩ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ জন মারা গেছেন ২৯/৩০ নম্বর ওয়ার্ডে। হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মারা গেছেন ২ জন। আরও ২ জন করে মারা গেছেন ১, ১৬ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডে। এ ছাড়াও ১ জন করে মারা গেছেন ৩ ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে।
তিনি জানান, একদিনে করোনা পজেটিভ হয়ে মারা গেছেন ৬ জন। তার মধ্যে ৩ জনই চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। আর ২ জন রাজশাহীর এবং ১ জন নাটোরের বাসিন্দা। আর করোনার উপসর্গ নিয়ে একই দিনে হাসপাতালে মারা গেছেন আরও ৬ জন। এদের মধ্যে ৩ জন চাঁপাই নবাবগঞ্জের, ২ জন নাটোরের এবং ১ জন নওগাঁর বাসিন্দা। করোনামুক্ত হয়ে মারা যাওয়া একমাত্র রোগীর বাড়ি রাজশাহী। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের মরদেহ দাফনের পরামর্শ দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের হিসেবে, এ পর্যন্ত বিভাগে সর্বোচ্চ ১৪ হাজার ৫৪০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে রাজশাহী জেলায়। এরমধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৮ হাজার ৮৮৩ জন। মহামারিতে জেলায় মারা গেছেন ১২৪ জন। বিভাগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ হাজার ৯৬৫ জনের করোনা ধরা পড়েছে বগুড়ায়। এরমধ্যে সুস্থ হয়েছেন বিভাগে সর্বোচ্চ ১২ হাজার ২০৬ জন। বিভাগে সবচেয়ে বেশি ৩৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বগুড়ায়।