আদনান সামির অস্বাভাবিক স্থূল থেকে ‘ফিট’ হয়ে যাওয়া কোনো জাদুমন্ত্রবলে হয়নি। ২০০৫ সালের দিকে অতিরিক্ত ওজনের কারণে নিয়মিত অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন। ২০০৬ সালের শুরুতে ডাক্তার সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, ওজন ঝরাতে না পারলে ছয় মাসের বেশি বাঁচবেন না। বেঁচে থাকার তাগিদেই তখন ওজন ঝরানো শুরু করেন সামি। যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে শুরু করলেন সেই কাজ। সেখানকার পুষ্টিবিদ ও ডায়েটিশিয়ান—সবাই তাঁকে ‘ইমোশনাল ইটার’ বলে অভিহিত করেছিলেন। কেননা, অবসাদে পড়েই বেশি খেতেন। হায়দরাবাদি বিরিয়ানির ভেতর সমস্ত রিলিফ খুঁজে পেতেন। তিন বেলা বিরিয়ানি খেতেন আদনান সামি। সামির অত্যধিক ওজনের কারণেই নাকি সাবেক স্ত্রীরা তাঁকে ছেড়ে গিয়েছিলেন। ফলে ওজন বৃদ্ধির এক দুষ্টচক্রের ভেতর পড়ে গিয়েছিলেন আদনান সামি।
ওজন ঝরানোর এই যাত্রার বিষয়ে একাধিকবার গণমাধ্যমকে সামি বলেছেন, এটি ৮০ ভাগ মানসিক। আর মাত্র ২০ ভাগ শারীরিক। মনস্থির করাই ডায়েটে সবচেয়ে বড় আর গুরুত্বপূর্ণ। ডায়েটের সময় নিয়মিত কাউন্সেলিংও করিয়েছেন। অসংখ্য ভারতীয় ও পাকিস্তানি গণমাধ্যম জানিয়েছে, একাধিক প্লাস্টিক সার্জারিও করিয়েছেন তিনি।
আদনান সামির মালদ্বীপ ভ্রমণের ছবির নিচে ভক্তরা লিখেছেন, ‘এ হতে পারে না। আমি বিশ্বাস করি না! কীভাবে সম্ভব।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘ওয়াও, মনে হচ্ছে বাটালি দিয়ে কেটে “জ” লাইন (সূচালো চোয়াল) বানানো হয়েছে। নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছি না। আপনি অনুপ্রেরণা। সালাম।’
ওজন কমিয়ে আদনান সামি যে এখন অনেক সুদর্শন হয়েছেন—তা-ই শুধু নয়, বয়সও এক লাফে কমে গেছে কয়েক ধাপ। শরীরের পাশাপাশি মনও হয়েছে ফুরফুরে। বেশি ওজনের জন্য আগে হীনম্মন্যতায় ভুগতেন। ওজন কমিয়ে তাঁর মানসিক সমস্যাও গায়েব! দিব্যি স্ত্রী–সন্তান নিয়ে সুখে জীবন পার করছেন সামি।