নিজস্ব প্রতিবেদক: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একজন মানবিক আর্মি অফিসার হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন সেনা অফিসার ক্যাপ্টেন আবির হাসান। তার দক্ষতা, কর্তব্য, নিষ্ঠা ও সাহসিকতা,ও সততার পঞ্চমুখ সবার প্রিয়। এলাকায় তাকে বলা হয় একজন মানবিক সেনা অফিসার আবির হাসান।
২০১৬ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন তিনি। আবির হাসান তার কর্তব্য এলাকায় উঠান বৈঠক এবং খন্ড আলোচনা সভার মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মাঝে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করে অনেক সুনাম অর্জন করেছেন ।
তিনি জীবনে ঝুঁকি নিয়ে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা জন্য আন্ডার কাভার মিশনে কর্মরত আছেন।
অনেক বড় বড় মাদক কারবারি চোরা চালান কিশোর গ্যাং এর মত অপরাধীদের ধরে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির মাধ্যমে সাজা দিয়েছেন তিনু
এইতো সেদিন, একটি মার্ডার মামলায় সাজা প্রাপ্ত হয়ে দীর্ঘদিন যাবত পর্তুগালে আলেন্টেজো এলাকায় আত্মগোপন করেছিলেন । আবির হাসানের নেতৃত্বে ও পর্তুগাল পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
তার পোস্ট করা বিভিন্ন ভিডিও পোষ্টে ফলোয়াররা ইতিবাচক কমেন্টস করে থাকেন, যা সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি একজন মানবিক আর্মি অফিসার হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং টুইটারে আবির হাসান একজন পরিচিত মুখ ।
তিনি শুধু মাত্র একজন ভালো আর্মি অফিসার হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেননি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে তার সমসাময়িক লেখা প্রশংসার দাবিদার । ইতিপূর্বে তিনি একটি উপন্যাসও লিখেছেন ইংরেজি ভাষায়। বইটি Because I don’t have him এটা রাশিয়াতে প্রকাশ করা হয়েছে ও রাশিয়ান বইটি পড়ে অনেকেই মুগ্ধ।
সম্প্রতি এই বিষয়ে মুঠোফোনে ক্যাপ্টেন আবির হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার মূল পেশা হচ্ছে আমার চাকরি । আমার এই পেশার মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে দেশের ও দেশের মানুষের সেবা করা।
বর্তমান সময়ে এই সেবা করার একটা বড় মাধ্যম হচ্ছে, ফেসবুক এবং ইউটিউব। এই মাধ্যমেও মানুষের সেবা করা যেতে পারে।
আমার সরকারি কাজের ফাঁকে ৯-১০ মিনিট ব্যয় করে যদি মানুষের সেবা করা যায়, তাতে তো ক্ষতি নেই। শৃঙ্খলাবদ্ধ বাংলাদেশ সেনা বাহিনীতে দায়িত্বশীলতার সাথে মানবিক নানান কর্মকান্ডে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন তিনি। আর্মি জনগণের পরম বন্ধু তার অবস্থান থেকে তিনি এটা প্রমাণ করাতে সক্ষম হয়েছেন।