কুয়ালালামপুরে নাইট ক্লাবে অভিযান, বাংলাদেশিসহ গ্রেফতার ৮৯

শনিবার মধ্য রাতে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে একটি নাইট ক্লাবে অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশিসহ ৮৯ জনকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। বিনোদন কেন্দ্রটিতে বিদেশি ওয়েট্রেসের আড়ালে অনৈতিক কার্যক্রম পরিচালিত হতো বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।

কুয়ালালামপুরের ফেডারেল টেরিটরি ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের (জেআইএম) পরিচালক ওয়ান মোহাম্মদ সাউপি ওয়ান ইউসুফ রোববার এক বিবৃতিতে বলেছেন, জনসাধারণের কাছ থেকে প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে অপারেশন গেগার নামে কুয়ালালামপুর স্ট্রাইক ফোর্সের মাধ্যমে অভিযান চালানো হয়।

তিনি বলেন, জনসাধারণের পাশাপাশি গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, এ বিনোদন কেন্দ্রে অবৈধ অভিবাসী নিয়োগের কাজ ছাড়াও অনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়ে আসছিল। কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশনের ২৯ সদস্যের সমন্বয়ে দলটি মধ্যরাতে অপারেশন শুরু করে।

এ অপারেশনে গ্রাহক ও কর্মচারীসহ মোট ২১৫ জনের কাগজপত্র পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ২৩ থেকে ৫৮ বছর বয়সি বিদেশি ও স্থানীয় মিলিয়ে মোট ৮৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারদের মধ্যে ৬১ জন থাই নারী, ১০ জন ভিয়েতনামী এবং একজন লাওতিয়ান, ছয়জন বাংলাদেশি পুরুষ এবং দুইজন চীনা পুরুষ এবং স্থানীয় নাগরিকদের মধ্যে আটজন পুরুষ এবং একজন মহিলা রয়েছে।

ওয়ান ইউসুফ বলেন, বৈধ পারমিট না থাকা, পারমিটের অপব্যবহার, অতিবাহিত করা এবং অবৈধ অভিবাসীদের রক্ষা করার অপরাধের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

তার মতে, প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া গেছে গ্রেফতারকৃত বিদেশিরা পর্যটক হিসেবে দেশে প্রবেশ করেছে এবং পরে এসব কাজে যোগ দিয়েছে। এই স্থানীয় ব্যক্তিদের ব্যাপারে প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে তারা তত্ত্বাবধায়ক এবং ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করে।

ওয়ান মোহাম্মদ সাউপি বলেছেন, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশন বিভাগের অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বৈধ ভ্রমণ নথি না থাকার জন্য ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/১৯৬৩-এর ধারা ৬(১)(সি) অনুযায়ী মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট রাখা এবং অতিরিক্ত থাকার কারণে একই আইনের ধারা ১৫ এবং(১)(সি) উপধারায় গ্রেফতার বিদেশিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *