ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জনগণের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ কাজ করে যাচ্ছে। তবে দু’একটি গুম-খুনের ঘটনা ঘটতেই পারে। আশা করি, আগামী দিনে তাও আর ঘটবে না।’
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
২০১৯ সালের আগে দেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে না জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো রক্তচক্ষুকে আমরা ভয় পাই না। নির্বাচনের জন্য আপনাদের ৫ বছর অপেক্ষা করতে হবে। ২০১৯ সালের আগে এ দেশে কোনো নির্বাচন হবে না।’
নারায়ণগঞ্জের গুম-খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের অবশ্যই বিচার হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ ঘটনার এখন তদন্তদ চলছে। তদন্তেদ যারা দোষী প্রমাণিত হবে, তাদের বিচার অবশ্যই করা হবে। কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’
তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। সুশীল সমাজ ও বিএনপি নায়ারণগঞ্জের হত্যাকা- নিয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে দেশে অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করতে চায়। আমি তাদের অনুরোধ করব, এ ঘটনা নিয়ে কোনো রকম উস্কানিমূলক বক্তব্য দেবেন না।’
কামরুল বলেন, ‘অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলের জন্য বিএনপি এখন নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। ক্ষমতা দখলের দিবাস্বপ্ন দেখে লাভ নেই, আপনারা আপনাদের দল গোছান।’
জনগণকে সর্ম্পক্ত করে আন্দোলন করার শক্তি বিএনপির নেই মন্তদব্য করে তিনি বলেন, ‘দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র না করে সংগঠনকে শক্তিশালী করুন। না হলে অচিরেই জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বেন।’
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন- সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথ এমপি, দফতর সম্পাদক সালেহ মোহাম্মদ টুটুল, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম লিটন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেবাষীশ বিশ্বাস, উত্তরের সভাপতি মোবাশ্বের চৌধুরী প্রমুখ। দ্য রিপোর্ট