‘মাইক’ দেখে চটেছেন সৌদি প্রবাসীরা

 মোশাররফ করিম অভিনীত ‘মাইক’ নাটকটি দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন সৌদি প্রবাসীরা। ক্ষেপেছেন মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত বাংলাদেশিরা। নাটকটির কয়েকটি পর্বে মোশাররফ করিমের ‘ফকিরনির পোলারা সৌদি আরব যায়’- ডায়লগটিকে কেন্দ্র করেই এই উত্তাপ। প্রবাসীরা তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তারা নাটকটির রচয়িতা, পরিচালক-প্রযোজক, অভিনেতাসহ সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

এ ব্যাপারে প্রবাসীরা অভিযোগ করেন, এই নাটকে সৌদি প্রবাসীদের নানাভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে। পুরো নাটকটিতে এই কথাটি বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে যে সৌদিপ্রবাসীরা অত্যন্ত নিম্নমানের। একইসঙ্গে সমালোচনা করা হয়েছে, সিকান্দার বক্স নাটকেরও। সেখানে মোশাররফ করিমের মামা চরিত্রে অভিনয়কারী ফারুক আহমেদের মুখ থেকে বলানো হয়েছে- ”সৌদি আরব যারা থাকে তারা খেঁজুর খায় আর কম্বল নিয়ে ঘোরে’। নাটকের এসব ডায়লগ প্রবাসীদের সম্মানে আঘাত করেছে বলে মনে করেন তারা।

রিয়াদপ্রবাসী সাহিত্যিক ফিরোজ খান বলেন, ‘বিষয়টা খুব সিরিয়াস । আমাদের সংঘবদ্ধভাবে প্রতিবাদ করা দরকার। যারা এ ধরনের নাটকের রচয়িতা তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে ।’

মোশাররফ করিমের এই ডায়ালগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন অনেক সৌদিপ্রবাসী। সৌদি আরবস্থ ফেনী প্রবাসী ফোরাম তাদের ফেসবুক পেজে লিখেছে, সৌদি আরব প্রবাসীদের নিয়ে কটূক্তিমূলক সংলাপ দিয়ে নাটক তৈরি এবং তা সম্প্রচার করায় নাটকের রচয়িতা ও প্রচারক মোস্তফা কামাল রাজ, অভিনেতা মোশাররফ করিম এবং যে মিডিয়া এটা প্রচার করেছে তাদের দৃষ্টান্তুমূলক শাস্তি দাবি করছি।

রিয়াদপ্রবাসী সাংবাদিক আহমেদ আরিফ বলেন, বর্তমানে প্রচারিত ধারাবাহিক নাটক নজিরবিহীন নজরআলী। সেখানেও জনপ্রিয় কমেডিয়ান অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানকে সৌদি ফেরত বাংলাদেশি চরিত্রের যে গেটআপ ও সংলাপ দেওয়া হয়েছে, তা খুবই আপত্তিকর। দেশের অর্থনীতি চাঙা রাখা আর সুখ-দুঃখের কথা নাটকে তুলে না ধরে উল্টো জঘন্য মিথ্যাচারের মাধ্যমে হাস্যকরভাবে উপস্থাপন করাটা চরম দুঃখজনক।

এদিকে নাটকের এসব ডায়লগে শুধু সৌদি আরবই নয়, চটেছেন মধ্যপ্রচ্যের অন্যান্য দেশে বসবাসরত বাঙালিরাও। দুবাই প্রবাসী কাজী রিয়ান বলেন, যে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতি সচল রেখেছে, তাদের নিয়ে এমন ব্যঙ্গ করা কোনোভাবেই উচিত নয়। তা ছাড়া, সৌদি আরব সর্বাধিক রেমিট্যান্স প্রেরক দেশ। তাই নাটক লেখা বা প্রচারের আগে বিষয়গুলো বিবেচনায় আনা উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *